সুশানের নেতৃত্বে বেপরোয়া স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেট যশোরের শার্শা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় শক্ত স্বর্ণচোরাচালানী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। সিন্ডিকেটের কিছু সদস্য মামলায় জড়িয়ে সাময়িক বিদেশে গেলেও সিন্ডিকেট বেপরোয়াভাবে স্বর্ণ চোরাচালান অব্যাহত রেখেছে। উপজেলার শালকোনা শিবোবাস, টেংরালী, লক্ষণপুর, শিকারপুর বাহাদুরপুর, ধান্যখোলা এলাকায় স্বর্ণ সিন্ডিকেটের প্রায় শতাধিক সদস্য রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে স্বর্ণ চোরাচালানী সিন্ডিকেটের শালকোনা টু বাহাদুরপুর অংশের সিন্ডিকেট প্রধান জনৈক সুশান।
অভিযোগ রয়েছে সুশান আঞ্চলিক স্বর্ণচোরালানী চক্রের প্রধান হোতা। খোজ নিতেই গ্রামবাসী জানায়, শালকোনার কেরামতের পুত্র এই সুশান। সেই চোরাচালানী খাতের স্বর্ণ শাখা নিয়ন্ত্রন করে। তবে স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই শর্তে জানান, সে হচ্ছে লৌকিক হোতা। সুশানের সাথে রয়েছে একই গ্রামের মৃত ইসাহাকের পুত্র নজু, ফজরের পুত্র, জিয়াউর রহমানের পুত্র জাভেদ, মৃত ইমান আলীর পুত্র তরিকুল ইসলাম, আজিজ মোলার পুত্র তারেক প্রমুখ। সুশানের সহযোগী হচ্ছে দুর্গাপুরের মিশন (৩১), প্রবাল (৩৫) প্রমুখ।
যশোরের ৫ কোটি টাকার ৬২টি স্বর্ণের বারসহ দুজন গ্রেফতার করা হয়। আটক দুই জন সুশানের স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সদস্য বলে অভিযোগ রয়েছে। যশোরের শার্শা সীমান্ত পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৬২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর সোমবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার গোড়পাড়ার আমতলা থেকে ৭ কেজি ১২গ্ৰাম ওজনের ৬২টি স্বর্ণসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধারকৃত সোনার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আটক ব্যক্তিরা হচ্ছে, নাইম হোসেন (২২) ও আজহারুল ইসলাম (২৩)। তাদের বাড়ি শার্শা উপজেলায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঐ অভিযান চালায়। ভারতে পাচারের উদ্দেশ্য স্বর্ণ পাচারকারীরা বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ নিয়ে শার্শার গোড়পাড়ার আমতলায় অবস্থান করছেন।
পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে ৬২টি সোনার বারসহ তাদের আটক করা হয়। শার্শা থানায় মামলা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করে চালান দেওয়া হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, একজন সাবেক জনপ্রতিনিধি এই চক্রটিকে নিয়ন্ত্রণ করেন। তার বাড়িও শালকোনায়। তিনি ডিহি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, শালকোনার আজিজ মোল্যার পুত্র তরিকুল ইসলাম তারেক, জিয়াউর রহমানের পুত্র জাভেদ কয় সহযোগীসহ ২১ জানুয়ারি ২ কেজি ৩৩০ গ্রামসহ আটক হয়। এদের মধ্যে জাভেদ ৩ কেজি স্বর্ণসহ আটক হয়। ঐ মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেতে সে অতি গোপনে মালয়েশিয়া চলে গেছে। তরিকুল ইসলাম তারেকও পাসপোর্ট করেছে। সেও গোপনে বিদেশে যাওয়ার তালে ব্যস্ত। এখন সে গা ঢাকা দিয়ে এলাকায় চলাচল করছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা আরো জানায়, সুশানের স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটে আওয়ামীলীগ বিএনপি জামায়াত এমনকি আঞ্চলিক প্রভাবশালী অনেকেই রয়েছে। তবে স্বর্ণসহ যারা ধরা পড়ে তারা সাধারনত দিনমজুর বা জন। ওরা জানেনা স্বর্ণের মালিক কারা। একারনে রাঘববোয়ালরা নিরাপদ থাকে বরাবর।
পত্রিকা একাত্তর/ কে,এম,মোজাপ্ফার
আপনার মতামত লিখুন :