শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি বিয়ের মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে কোন প্রকার উপহার নেওয়া হয়নি। উপহার নিয়ে আসা মেহমানদের আপ্পায়ন শেষে উপহার তাদেরকেই ফিরিয়ে দিয়ে অচাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন এক বরের পিতা।
উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের বাজুপাড়া গ্রামের মোঃ লুতফর রহমানের ছেলে এবাদুল ইসলামের বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠান ছিল ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার।
অনুষ্টানে আগত অতিথিরা উপহার নিয়ে দাওয়াত খেতে আসলেও উপহার দিতে পারেন নি কেও।
বরের বড় ভাই লালচান হোসাইন লাভলু জানান, প্রতিটি বিয়ে বাড়িতে উপহারসামগ্রী উপহারের অর্থ সংগ্রহে একটি টেবিল বসানো হয়। এতে আমন্ত্রিত অতিথিরা সামাজিক অবস্থানের কথা চিন্তা করে বাধ্য হয়ে উপহার সামগ্রী বা অর্থ প্রদান করেন, যা অনেক সময় তাদের জন্য ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায়। সেজন্য এই অমানবিক কাজকে বর্জন করার উদ্দেশ্যেই আজ আমার ছোট ভাইয়ের বিয়েতে কোন প্রকার উপহার নেওয়া হয়নি।আমরা এ দম্পতীর জন্য দোয়া কামনা করছি।
অনুষ্ঠানে দাওয়াত খেতে আসা মেহমান হাকিম মোঃ আব্দুর রব জানান, এই বিয়েতে এসে আমি অবাক খুবই প্রসংসনীয় একটি কাজ তারা করেছে আমি বাড়ি থেকে উপহার হিসেবে কিছু টাকা নিয়ে এসেছিলাম বাট এখানকার পরিবেশে উপহারের টাকা দেওয়ার মত কোন লোকই খুজে পাচ্ছি না এবং বরের বাবাকে উপহারের টাকা দিতে চাইলেও তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমরা চাই এলাকার প্রত্যেকটি বিয়েতে এমন ভাবে বিয়ের নামে হোটেল ব্যাবসা বন্ধ হোক।
পত্রিকা একাত্তর/ মনোয়ার হোসেন
আপনার মতামত লিখুন :