পটুয়াখালী জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে শীত এলেই যেন নিম্ন আয়ের মানুষদের ভাগ্য খুলে যায়। এদের প্রতিদিন প্রায় ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকার পিঠা বিক্রি হয়। কখনো কখনো পিঠা বিক্রি ৫০০০ টাকার অধিক ছাড়িয়ে যায়। পিঠা বিক্রেতাদের প্রত্যেকেই আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রতিবছর শীত এলেই তাদের স্বল্পপুঁজি নিয়ে বাড়তি আয়ের আশায় পিঠা বিক্রি শুরু করেন।
বিভিন্ন টং দোকানে জ্বলছে সারি সারি মাটির ও গ্যাসের চুলা। প্রতিটি চুলার ওপরে বসানো হয়েছে এক এক ধরনের পিঠার ‘খোলা’। একটু পর পর খোলার ঢাকনা তুলে দেয়া হচ্ছে চালের গুঁড়ার ‘গোলা’। কয়েক মিনিট রেখেই গরম গরম চিতই, চডা ও ভাপা পিঠা ইত্যাদি নামিয়ে ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে ক্রেতাদের হাতে। প্রতি প্লেটের পিঠার পাশেই দেয়া হচ্ছে পছন্দমতো সরিষা ভর্তা, ধনেপাতা ভর্তা, মরিচ ভর্তা, চিড়িং মাছের শুঁটকি ভর্তা, লাউশাঁক ভর্তাসহ নানা ধরনের ভর্তা। এমন দৃশ্য পটুয়াখালী শহরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তার ফুটপাতে।
জেলা শহর ঘুরে দেখা গেছে, শীতের শুরুতেই শহরের অর্ধ শতাধিক স্থানে ভাগ্য দেবী ভর করে এসব মৌসুমি পিঠা বিক্রেতাদের টং দোকানগুলোতে। একাধিক বিক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, শীতের রাতে গরম গরম পিঠার সঙ্গে সুপরিচিত পটুয়াখালীর প্রতিটি মানুষ। এখানে চিতই ও চডা পিঠা খুবই জনপ্রিয়। বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় জমান এই ফুটপাতে বসা এসব পিঠার দোকানে। লাইন দিয়ে পিঠা খান আবার কেউ কেউ খেয়ে আবার বাসার লোকজনের জন্যও নিয়ে যান।
পটুয়াখালী শহরের প্রায় প্রতিটি মোড়েই রয়েছে পিঠার দোকান। শুধু শীত মৌসুমেই দোকানগুলো দেখা যায়। এখানে প্রতিটি চিতই পিঠা বিক্রি হয় ৩ ও চডা পিঠা ৫ টাকা দামে বিক্রি হয়। বিকেল থেকে শুরু করে রাত ১১ টা পর্যন্ত চলে এসব পিঠা বিক্রি।
পত্রিকা একাত্তর / মারুফ ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :