মোবাইল ফোনের ব্যবহারটা যেন কমানো যায়। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে। আর লেখাপড়ার মধ্যে যেন মানসিক প্রশান্তি থাকে। কোনো একটা বিষয় আমি কেন পড়ছি, এটার দরকারটা যদি আমরা বুঝে পড়তে পারি- তা হলে মুখস্থনির্ভর পড়া হবে না। জীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে পারবে, এ রকম পড়া হবে- এটি আমি চাই! শিক্ষকতা একটি মহান পেশা।
একজন শিক্ষক সমাজের সব শ্রেণির মানুষের কাছে অত্যন্ত মর্যাদা ও সম্মানের পাত্র হয়। তবে এখন শিক্ষা দেওয়ার ধরন বদলেছে। আগের মতো নেই। এখন অনলাইন, ফেসবুক বা ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হয়। দিনে দিনে ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ায় এর জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। খুব সহজেই ইন্টারনেট সংযোগ, স্মার্ট ডিভাইস থাকলে ঘরে বসেই পৃথিবীর অজানা বিষয়সহ নিজের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষাও খুব সহজে পাওয়া যাচ্ছে।
সৃষ্টিশীল প্রকাশ ও জ্ঞানের মধ্যে আনন্দ জাগ্রত করা হলো শিক্ষকের সর্বপ্রধান শিল্প- যিনি শিক্ষার্থীর মনে কল্পনার প্রজ্বলন ঘটিয়ে স্বপ্নের বীজ বপনে সাহায্য করেন, ভালোবাসার সঙ্গে জ্ঞান প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতি উৎসাহিত করেন। শিক্ষাকে সহজলভ্য করে সবার মধ্যে পৌঁছে দেওয়া তেমনই এক তরুণ ‘দ্য ফিউচার বাংলাদেশ ’-এর প্রতিষ্ঠাতা শিশির আসাদ। তিনি ২০১৬ সাল থেকে দ্য ফিউচার বাংলাদেশ এর কার্যক্রম শুরু করেন।
এর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।দ্য ফিউচার বাংলাদেশ শিক্ষার্থীদের মাঝে জনপ্রিয় সংগঠন৷ এই সংগঠন সহজ শিক্ষা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর৷ শুধু তাই নয় অভাবী ও গরীব দুস্থদের জন্য সেবা করে যাচ্ছে৷ দ্য ফিউচার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কী কী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন- চ্যালেঞ্জ বলতে একা আমার এ কাজটা করা সম্ভব হচ্ছিল না। অনেকজনকে অনেককিছু বুঝিয়ে যুক্ত করা লেগেছে।
এমনও সময় ছিল, আমি অনেককে নিজের টাকা দিয়ে তাদের সহযোগিতা নিতাম। শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে সবল করতে দ্য ফিউচার বাংলাদেশ পড়ালেখার পাশাপাশি কী পরিকল্পনা করছে- পড়ালেখার পাশাপাশি এ মুহূর্তে যে চিন্তা, তা হচ্ছে এডভান্স মেন্টাল কাউন্সেলিং করানো৷ পাঠ্য সহজ করার জন্য নতুন নতুন উদ্দোগ নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাব্যস্থা নিয়ে আপনার কোনো স্বপ্ন আছে কী- শিক্ষাব্যবস্থা একটা খুব বড় শব্দ।
এটার জন্য আসলে নির্দিষ্ট সরকারি সংস্থা কাজ করছে। আমার জায়গা থেকে যে কাজটা হবে, সিলেবাসের মধ্যে যে বিষয়গুলো থাকবে- এ বিষয়গুলো আরেকটু সুন্দর করে যুগোপযোগী করে তুলে ধরার চেষ্টা করা। সবার উদ্দেশে কী বার্তা দিতে চান? আমার বার্তা হচ্ছে যে, এখনকার পৃথিবী অনলাইনের ওপর নির্ভর হচ্ছে, ঠিক আছে। তবে অফলাইনেও থাকতে হবে। অনলাইনে যখন নির্ভর হবে, তখন আমার দুইটা পরামর্শ থাকবে- মোবাইল ফোনের ব্যবহারটা যেন কমানো যায়। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে।
আর লেখাপড়ার মধ্যে যেন মানসিক প্রশান্তি থাকে। কোনো একটা বিষয় আমি কেন পড়ছি, এটার দরকারটা যদি আমরা বুঝে পড়তে পারি- তা হলে মুখস্থনির্ভর পড়া হবে না। জীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে পারবে, এ রকম পড়া হবে- এটি আমি চাই। শিশির আসাদ ১৯৯৮ সালের ১৫ ই আগষ্ট পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন৷ বর্তমানে তিনি স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। শিশির আসাদ একাধারে একজন লেখক,কলামিস্ট ও শিক্ষা উদ্দোক্তা৷
পত্রিকা একাত্তর / রিয়াদ হোসাইন
আপনার মতামত লিখুন :