ববির সাবেক শিক্ষার্থী মিঠুন সরদার ব্যবসায়িক সাফল্য


বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিনিধি প্রকাশের সময় : ১৩/০৪/২০২৩, ৬:০৬ অপরাহ্ণ /
ববির সাবেক শিক্ষার্থী মিঠুন সরদার ব্যবসায়িক সাফল্য

করণা পরবর্তীকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ যখন হতাশায় সময় পার করছিলেন তখন ঠিক অন্যদের থেকে ব্যাতিক্রম বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মিঠুন সরদার মিঠু। তিনি চাকরির পিছনে না দৌড়ে শুরু করেন নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লাবিব ইলেকট্রনিকস জোন। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার রঘুনাথপুরে শুরু করেন তার এই ইলেকট্রনিকস পণ্যের ব্যবসা। সেবাকেই মূল্য লক্ষ্য বানিয়ে তার এই ব্যবসায়িক সাফল্য। তার ব্যাবসায়িক সাফল্য এখন নিজ এলাকা ছাড়িয়ে আশেপাশের এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি এখন একজন সফল ব্যবসায়িক উদ্যোক্তা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিঠুন সরদার মিঠু বলেন,” যেহেতু আমার বেড়ে ওঠা এখানে। তাই এখানকার মানুষের সামাজিক উন্নয়নের কথা ভাবতাম। যেহেতু এখানকার মানুষ বেশিরভাগ কৃষক এবং স্বল্প শিক্ষিত। তাই উনারা বেশির ভাগ সময়ে ভালো মানের ইলেকট্রনিকস পণ্য চিনে কিনতে পারতেন না। আর এর ফয়দাটা কিছু খারাপ ব্যবসায়ী নিতো। টাকা ঠিকই নিতেন তবে ভালো মানের পণ্য দিতেন না। তার জন্য এখানকার মানুষেরা পর্যাপ্ত টাকা দিয়েও সেই সুফল পেতেন না। প্রতারিত হতেন। আর এই চিন্তা থেকেই আমার এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু। ভালো মানের পণ্য সঠিক দামে আমার আশেপাশের মানুষের কাছে পৌছে দেওয়াই আমার লক্ষ্য। আমার এখানে ওয়ালটন, মিনিস্টার, ভিশন, কিয়াম সহ উন্নত ব্রান্ডের টিভি, ফ্রিজ, রাইস কুকার সহ সকল পণ্য মানুষ সহজেই পাচ্ছেন। যার কারণে আমার গ্রাম সহ আশ পাশের গ্রামের মানুষ শহরের মতোই উন্নত মানের পণ্যের সেবা নিতে পারছেন। গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করাই আমার মূল উদ্দেশ্য।

এ বিষয়ে বরুনা গ্রামের মিলন দাস বলেন, বঘুনাথপুরে শোরুম হওয়ার ফলে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। আমরা এখন ভালো মানের পণ্য পাচ্ছি। আগে টাকা খরচ করেও চায়না পণ্য কিনতে হতো। যা অল্প কিছু দিন ব্যবহারের পর নষ্ট হয়ে যেতো। আর তা মেকানিকের কাছে ঠিক করতেও বেশ খরচ হতো। এখন আর তেমন হয় না। নষ্ট বা কোনো সমস্যা হলে রঘুনাথপুরের শোরুমে নিয়ে গেলে কোম্পানির টেকনিশিয়ান দিয়ে উনারা ঠিক করায়ে দেন। আমাদের কোনো টাকা দিতে হয় না।”

এ বিষয়ে আরো জানতে চাইলে জামিরার সুমন বলেন, ” রঘুনাথপুরের মিঠু ভাই বেশ ভালো মানুষ। তার কাজ ও সেবায় আমরা খুশি। তিনি আমাদেরকে সর্বদা ভালো মানের পণ্য দেন। আমরা তার উন্নতি কামনা করছি।”

প্রসঙ্গত, ব্যবসায়ের পরিধি বাড়িয়ে বর্তমানে ওলটন শো রূমের পাশাপাশি আরেকটি শো রুমে যাবতীয় ফার্নিচার ও আবাসন সামগ্রী বিক্রয় করছেন৷

পত্রিকা একাত্তর/ মামুন