ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বরেণ্য সন্তান সাতক্ষীরা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব কাজী মনিরুজ্জামান (জাহিদ)কে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পুলিশের সর্বোচ্চ সম্মান সূচক পিপিএম (সেবা) পদক প্রাপ্ত হওয়ায় নিজ জন্মস্থানের বন্ধুমহল, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মহলের পক্ষ থেকে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটায় উপজেলা সদরের একতারা মোড়ের একটি মিলনায়তনে মানবাধিকার ও গনমাধ্যম কর্মী মাহবুব মুরশেদ শাহীনের সঞ্চালনায় এবং বন্ধু মহলের এম.নজরুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষদের মধ্যে এম. মোক্তার আলী, এম.শরিফুল ইসলাম এবং এম. শহিদুল ইসলাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিষ্ট্রার এম. জামাল উদ্দীন, থানা অফিসার ইনচার্জ এম. সাইফুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জামাল উদ্দীন, সহকারী অধ্যাপক এটিএম শরিফুজ্জামান, প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে নিয়ামত আলী, মাসুদুল হক, জামাল উদ্দীন, মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, গনমাধ্যম নেতৃবৃন্দের মধ্যে এম. সাইফুজ্জামান তাজু, এইচ মাহবুব মিলু, রাব্বুল হোসেন, শহিদুল ইসলাম টুকু, রুবেল হোসেন, মানবাধিকার নেতা সাইদুর রহমান, রেজাউল ইসলাম,, বনিক সমিতির আসাদুজ্জামান, ফারিয়ার রাশেদ মোশাররফ, বন্ধু মহলের কবি গোলাম সরোয়ার, রাব্বুল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
সংবর্ধিত অতিথি হরিণাকুণ্ডুর বরেণ্য সন্তান এসপি কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম তার বক্তৃতার শুরুতে বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধ জ্ঞাপনের সাথে সাথে ১৫ আগষ্টের কালরাতে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ অন্যান্য শাহাদত বরণকারী নেতৃবৃন্দ, ৩রা নভেম্বর জেলখানায় নিহত জাতীয় চারনেতা, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শাহাদত বরণকারী ত্রিশলক্ষ শহীদ, দুইলক্ষ সম্ভ্রম হারা মা বোনসহ জাতির গর্বিত সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। নিজ এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক এই সংবর্ধনা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহন করায় আয়োজকদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। হরিনাকুণ্ডু থেকে মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, বাল্য বিয়ে, আত্মহত্যা, দেশ ও স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সচেতন নাগরিক সমাজকে পুলিশকে সহায়তা করার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা থেকে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নিজ নিজ অঙ্গন থেকে ভূমিকা রাখার মধ্য দিয়ে একটি উন্নত দেশ গঠন সম্ভব বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় এসপি জাহিদের মানবিক কর্মকান্ডের ভূয়শী প্রসংশা করে বলেন, একজন সৎ সাহসী কতর্ব্যনিষ্ঠ পুলিশ সুপার হিসেবে দুষ্টের দমন আর শীষ্টের পালনে তার ভূমিকার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি তিনি পিপিএম (সেবা) পদক প্রাপ্তির হওয়ার গৌরব অর্জণ করেছেন। এসপি মনিরুজ্জামান অনুষ্ঠান স্থলে পৌছালে বিভিন্ন পেশাজীবী মহলের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করা হয়। এছাড়া তাকে সংবর্ধনা ক্রেষ্ট উপহার দেওয়া হয়।
এসপি কাজী মনিরুজ্জামনের বিশ মিনিটের দিক নির্দেশনা মূলক বক্তৃতাটি একটি স্মরনীয় বক্ততা হিসেবে সুধীমহলে সমাদৃত হয়।
পত্রিকা একাত্তর/ মাজফজুর রহমান
আপনার মতামত লিখুন :