আজ শুক্রবার (১০জুন) জুম্মার নামাজের পর ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের আর্টগ্যালারী সকল মুসল্লীরা একত্রিত হন। এবং সেখান থেকে তারা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পুরাতন বাসস্ট্যান্ড ও সত্যপীর ব্রীজ এলাকাসহ বেশ কয়েকটি স্থান থেকে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে শত শত মুসল্লিরা এ কর্মসুচি পালন করেন।
এসময় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানায়। সেই সাথে তাদের শাস্তির দাবি করেন সংগঠনের নেতারা। বিক্ষোভ কর্মসুচির পর জেলা শহরের চৌরাস্তা ও বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় মানববন্ধনে অংশ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, ভারতের মত একটি সভ্য রাস্ট্রে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বিশ্বে নবীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে গোটা বিশ্বের মুসলিমকে আঘাত করেছে।
যা কোনভাবেই মেনে নেয়া সম্ভব নয়। আজ শুধু বাংলাদেশ নয় গোনা বিশ্বে তাদের প্রতি ঘৃণা জন্ম নিয়েছে। এখনো পর্যন্ত ভারত সরকার তাদের বিরুদ্ধে কার্যত প্রদক্ষেপ গ্রহন করেনি। অবিলম্বে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা না হওয়া পর্যন্ত ভারতের সকল পণ্য বয়কট করার আহবান জানান।
ভারতের মুখ্যপাত্র নুপুর শর্মা ও মিডিয়া সেল প্রধান নবীন জিন্দান বিশ্বে নবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করেছে ইসলামী বেশ কয়েকটি দল। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোন প্রতিবাদ না জানানোয় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়।
মহা নবীকে নিয়ে অবমাননাকারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে আরো কঠোর কর্মসুচি দেয়ার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন মুসলিম সংগঠনের নেতারা। রাসুল (সা:) ও উন্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রা:) এর নামে ভারতের বিজেপি মুখপাত্র নুপুর শর্মার বক্তব্যের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁও শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তায় বক্তব্য রাখেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা, ছাত্র, যুব, শ্রমিক (গণ অধিকার পরিষদ) জেলাশাখা, ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার নেতাকর্মীরা।
পত্রিকা একাত্তর /আব্দুল্লাহ আল সুমন