রাজশাহী অঞ্চলে আবারো ধেয়ে আসছে শৈত্য প্রবাহ। উত্তরের কনকনে হাওয়ায় তাপমাত্রা অব্যাহতভাবে কমছে।রবিবারে রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ২৮ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যে এ অঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।অপরদিকে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। গত দুই দিনে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত অর্ধশতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, রাজশাহীতে ক’দিন থেকে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। দিনের অধিকাংশ সময় সূর্য থাকছে ঘন কুয়াশার আড়ালে।ফলে দিনের সর্বচ্চো তাপমাত্রা ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে বেশি তফাৎ থাকছে না। ফলে এ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বাড়ছেই। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ। শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষ। শীতার্তদের সহায়তায় এ অঞ্চলে সরকারি পর্যায়ে এখনও সেভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি।
কনকনে ঠাণ্ডা সহ্য করতে না পেরে এরই মধ্যে শীতজনিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। এদের মধ্যে বৃদ্ধ ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরর্ত শফিকুল ইসলাম জানান, শুধু শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার ও শনিবার রামেক হাসপাতালে ৭৫ শিশু ভর্তি হয়েছে। তবে এ দুই দিনে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত কোন রোগীর মৃত্যু ঘটেনি। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।
পত্রিকা একাত্তর/সৈয়দ আ: হালিম