কবি ও গবেষক প্রফেসর ড. মখদুম মাশরাফী রঞ্জু আর নেই

উপজেলা প্রতিনিধি, ডোমার

উপজেলা প্রতিনিধি, ডোমার

১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ৩ years আগে

কবি ও গবেষক প্রফেসর ড. মখদুম মাশরাফী রঞ্জু আর নেই

নীলফামারীর ডোমারের কৃতি সন্তান ষাটের কবি, গবেষক ও সনদ না নেওয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মখদুম মাশরাফী রঞ্জু আর নেই।

মঙ্গলবার (১লা ফেব্রুয়ারী) সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার সাভারে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন প্রফেসর ড. মখদুম মাশরাফী রঞ্জু। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। তিনি নীলফামারীর ডোমার পৌরসভার চিকনমাটি সাহাপাড়া এলাকার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত মোশাররফ হোসেন মশা দারোগা ও প্রয়াত রমিছা মাশরাফীর তৃতীয় পুত্র।

প্রফেসর ড. মখদুম মাশরাফী রঞ্জু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা শেষ করে খণ্ডকালীন সাংবাদিকতা করতেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সংবাদ সংস্থায় (বর্তমান বাসস/বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা)। তিনি পিএইচডি করেন হাঙ্গেরিতে। ফিরে এসে অধ্যাপনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। শেষ জীবনে সাভারের ‘গণস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়’ এর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতাকামী তরুণদের মিছিল নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন পুলিশভরা থানায়। নিজ হাতে নামিয়েছেন পাকিস্তানের চাঁদতারা পতাকা। উড্ডয়ন করেছিলেন বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকাটি। অতঃপর মশালের আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন অভিশপ্ত পাক-পতাকা। মুক্তিযুদ্ধের অগ্নিচেতনায় প্রকম্পিত হয়েছিল পুরো এলাকা। ডোমার বাজার ছেয়ে গিয়েছিল সেই বিপ্লবী পতাকার উড্ডয়নে। বৃহত্তর রংপুর-দিনাজপুরে ছড়িয়ে গিয়েছিল পতাকা পোড়ানোর গৌরবগাঁথা। তিনি পূর্ব পাকিস্তান সংবাদ সংস্থায় কাজ করার কারণে ভারতে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিতে পারেন নি।

মৃত্যুকালে প্রফেসর ড. মখদুম মাশরাফী রঞ্জু চার সন্তান সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেলেন। তার এই মহাপ্রয়াণে স্তম্ভিত গ্রামের বাড়ি ডোমারের সকল স্তরের মানুষ। শোক জানিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।

পত্রিকা একাত্তর/ রিশাদ

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news