বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত মোঃ লতিফ ফরাজির ছেলে মোঃ খলিল ফরাজি’র (৫৮) এর বসত ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৮.৪৫ মিনিট এর দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সিগারেটের আগুন থেকেই এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে রাত ৯.২০ মিনিটের দিকে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালান।
ভুক্তভুগি খলিল ফরাজির স্ত্রী জানান, প্রতিদিনের মতো রাতে ঘরে বসেই ভাত খাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ করেই বাহিরে ধোঁয়া দেখতে পান। এ সময় তিনি আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশিরা ছুটে আসেন এবং তার মালামাল বের করতে সাহায্য করেন। আগুনের খবর পেয়ে এলাকায় প্রতিবেশীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর প্রবীর কুমার দেবনাথ বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টেশন থেকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য রওনা হই এবং রওনা হবার পূর্বেই মোরেলগঞ্জ ফেরী কতৃপক্ষকে ফোন দিয়ে ফেরী ঘাটে থাকার জন্য বলা হলেও ফেরীঘাটে এসে দেখি ফেরী নদীর ঐপাড়ে। ঐপার থেকে এইপাড়ে গাড়ি নিয়ে আসে। তাদের এই কাল বিলম্বের কারনে আমাদের প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে। ফেরী কতৃপক্ষের এই দায়িত্বহীনতার কারনে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌছাতে সক্ষম হইনি। যার দরুন আমাদের পৌছাতে প্রায় ৪৫ মিনিট সময় লেগে যায়। পরে আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দেই ।কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও রক্ষা করা যায়নি কোন মালামাল।
এদিকে ফেরি কতৃপক্ষের এহেন কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তোক্ষেপ চান স্থানীয়রা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
পত্রিকা একাত্তর/মোঃ নাজমুল