লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন সড়কের গাছ কর্তনের মহা উৎসব শুরু হয়েছে।
প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট দফায় দফায় এ গাছ গুলো কর্তন করে বিক্রয় করছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় পাটগ্রাম পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি কাদের এলাহী লাভলুসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
সরেজমিন ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ওই উপজেলার জোংরা ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়কের শত শত বিভিন্ন প্রজাতির গাছ দফায় দফায় কর্তন করে বিক্রয় করছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। সরকারী এ গাছ কর্তনে বন বিভাগের অনুমতি নেয়ার নিয়ম থাকলে তা মানা হয়নি। জেলা পরিষদের সোহেল রানা নামে এক কর্মচারী গাছ কর্তনের ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেন।
ওই অভিযোগে পাটগ্রাম পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি কাদের এলাহী লাভলুসহ ৬ জনকে আসামী করেন জেলা পরিষদের কর্মচারী সোহেল রানা। যদিও কাদের এলাহী লাভলুর দাবী, তিনি ওই গাছ কর্তনের সাথে কোনো ভাবেই জড়িত নয়। তাকে রাজনৈতিক ভাবে হয়রানী করতে একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সোহেল রানাকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সোহেল রানা নামে ওই কর্মচারী গাছ কর্তনের বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলেও এখন নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। এ নিয়ে বুধবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনাও হয়। তারপরও ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন।
অভিযোগের বাদী সোহেল রানা জানান, তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন মাত্র। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, সড়কের গাছ কর্তনের বিষয়ে একটি অভিযোগ হয়েছে এবং উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনাও হয়েছে। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
লালমনিরহাট স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, সড়কের গাছ কর্তনের বিষয়ে কোনো ছাড় নেই। যদি গাছ কর্তন হয়ে থাকে তাহলে যারা জড়িত অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পত্রিকা একাত্তর/ লুৎফর রহমান
আপনার মতামত লিখুন :