সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন পটুয়াখালীর ২৭ টি গ্রামের আড়াই হাজারের বেশি মানুষ।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরীফ, বাউফল, গলাচিপা ও কলাপাড়ার ২৭ গ্রামের মুসল্লিরা ঈদ উদযাপন করেন।
এদিন সকাল নয়টায় সদর উপজেলার বদরপুর দরবারে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন বদরপুর দরবার শরীফ মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ শফিকুল আলম গনি। এছাড়া অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা গেছে, ৮৫ বছর ধরে সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখাসহ ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা পালন করে আসছেন তারা। তাদের মতে, পৃথিবীর যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা গেলেই সেদিন থেকে রোজা রাখা এবং সে নিয়ম অনুযায়ী ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করা উচিত।
ওসমানীয়া রাব্বানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল আমিন বলেন, আমরা চাঁদ দেখে রোজা শুরু করেছি, আবার চাঁদ দেখে ঈদ উদযাপন করছি। বিশ্বের যেকোনো জায়গায় ঈদের চাঁদ দেখা গেলেই ঈদ উদযাপন করতে হবে। আমাদের সঙ্গে আরও ২৭ টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বদরপুর দরবার শরীফের খাদেম মাওলানা মোহাম্মদ শফিকুল আলম গনি বলেন, বিশ্বের যেকোনো দেশে যদি চাঁদ দেখা যায়, তার সঙ্গে সংগতি রেখেই এখানকার গ্রামবাসীরা রোজা রাখা শুরু করে। তাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্বের বেশ কিছু দেশে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা গিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি। প্রথম রোজা থেকে এখানকার মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা তারাবি নামাজ পড়েছে।
পত্রিকা একাত্তর/ এস.এম.সোহান
আপনার মতামত লিখুন :