চট্টগ্রামে অর্পিতার আত্মহত্যা, পরিবারের অভিযোগ হত্যা


জেলা প্রতিনিধি, চট্রগ্রাম প্রকাশের সময় : ০৭/০৫/২০২৩, ১০:৪২ অপরাহ্ণ /
চট্টগ্রামে অর্পিতার আত্মহত্যা, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন আসকার দিঘির পাড়ের মালিপাড়া এলাকায় অর্পিতা মজুমদার তরী নামের এক গৃহবধূর গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত লাশ পাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।

গতকাল ৬ এপ্রিল শনিবার সকাল আনুমানিক দশটা নাগাদ এই হত্যার ঘটনা ঘটে বলে এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়।
এই বিষয়ে নিহত ভিকটিমের ভাই শৈবাল মজুমদার অন্ত(২৮) নগরীর কোতোয়ালি থানায় নিহত বোন অর্পিতা তরী(২৩)’র স্বামী রাজন দাশ(৩৩)কে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা এজহার সূত্রে ও বাদী শৈবাল মজুমদার অন্ত’র সাথে কথা বলে জানা যায় বিগত ২০১৭ সালের দিকে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার পাঠানদন্ডী গ্রামের নরেন্দ্র মেম্বার বাড়ির নিহত বোন অর্পিতার সাথে উল্লেখিত হত্যা মামলার আসামি ফটিকছড়ি উপজেলার রাজন দাশের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। তাদের পরিবারে পাঁচ বছর বয়সী আয়ান দাস নামের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

বেশ কিছুদিন যাবৎ স্বামীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের বিষয় নিয়ে উভয়ের মাঝে বিভিন্ন সময় ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিলো, মাঝেমধ্যে স্বামী শারীরিক নির্যাতন করতো। অর্পিতা এক মাত্র সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে সব মুখবুজে সহ্য করে আসছিলো। আশেপাশের এলাকাবাসী জানান ঘটনার দিনও তাদের মাঝে ঝগড়াঝাঁটির আওয়াজ শুনতে পান।

শৈবাল মজুমদার আরো জানান ঘটনার দিন কর্মস্থলে থাকা অবস্থায় বন্ধু সাগরের ফোন কল পেয়ে তাৎক্ষণিক বোনের ভাড়া বাসা আসকার দিঘীর পাড়,মালি পাড়ায় এসে দেখি বোন অর্পিতার মৃত দেহ বিছানায় পরে আছে, পরবর্তীতে বিল্ডিং’র কেয়ার টেকার বেবী জানান সকাল আনুমানিক দশটার দিকে ভাগ্নে আয়ান ঘুম থেকে জেগে উঠে তার মায়ের সাড়া শব্দ না পেয়ে বেবী’ র নিকট গিয়ে ডেকে নিয়ে আসে।বেবী রুমে ঢুকে অর্পিতার ফ্যানের সাথে ওড়না গলায় পেঁচানো ঝুলন্ত লাশ দেখে তাৎক্ষণিক তা নামিয়ে বিছানায় শুয়ে দিয়ে প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি করে নিয়ে আসেন।

বাদী শৈবাল মজুমদার অন্ত জানান আমার বোন তার স্বামীর পরকীয়ার বলি হয়ে পরিকল্পিত হত্যার শিকার হয়েছে। তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে ঘাতক স্বামী রাজন দাশ পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগরীর কোতোয়ালি থানার এসআই রুবেল হাওলাদার জানান লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। আসামিকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পত্রিকা একাত্তর/ ইসমাইল ইমন