নড়াইলের কালিয়ায় স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারের লড়াইকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তিনদিনপর রোববার রাতে কাদের গ্রুপের সমর্থক আকিদুল মোল্যা বাদি হয়ে ২৭ জনেরনামে মামলাটি দায়ের করেছেন।
উপজেলার চালিতাতলা গ্রামে গত শুক্রবারের (১৯মে) এই ঘটনায় ৬ জন গুলিদ্ধিসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। মারাত্মক আহতরা খুলনামেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় কাকা মোল্যারলাইসেন্সকৃত বন্দুকটি জব্দ করেছে পুলিশ। গ্রামটিতে চরম উত্তেজনা বিরাজকরছে।
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা যায়, কালিয়া উপজেলার ওই গ্রামটিতে আধিপত্যবিস্তারকে কেন্দ্র করে হমিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাকামিয়া মোল্যা ও আওয়ামী লীগের সমর্থক কাদের মোল্যা গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিনধরে লড়াই চলে আসছে।
তারই ধারবাহিকতায় ঘটনার দিন খুলনা জেলার তেরখাদাউপজেলার হরিদাশবাটি গ্রামের নেছার আলী মীরের ছেলে সেলিম মীর কাদেরেরবাড়িতে একটি জমির ম্যাপ নিতে আসে। ম্যাপ নিয়ে ফেরার পথে কাকা মিয়ারসমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে তারা সেলিমকে (৩৫) মারপিট করে আহত করলে কাদের গ্রুপেরসমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।পরে রাস্তায় পেয়ে কাদের সমর্থকরাজাকির মোল্যা (৪৫) ও আমিনুর শেখ (৩৮) নামে কাকা মোল্যার দুই সমথর্ককেমারধর করে।
তখন উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষ চলা কালে কাকামোল্যার ছেলে হোসেন মোল্যা লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়ে গুলি ছুড়লে বেবীবেগম (৫০),মিকাইল মোল্যা (৪৫), সরোয়ার মোল্যা (৩৫), রমিম মোল্যা (২৫) ওরবি মোল্যা (৩০) গুলি বিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের ঘংঘর্ষের ঘটনায় রোববার রাতে কাদের গ্রুপেরসমর্থক আকিদুল মোল্যা বাদি হয়ে কাকা মিয়া গ্রুপের ২৭ জনের নাম উল্লেখ করেএকটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া কাকা গ্রুপের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরেরপ্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
দলনেতা কাকা মোল্যা অসুস্থ্য থাকার কারণে দল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা তারছেলে হোসেন মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন অতর্কিত তাদেরওপর হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুরের চেষ্টা চালালে তারা আত্মরক্ষার জন্যবন্দুক দিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।
অপর দলপতি মো.কাদের মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, তার বাড়ি থেকে যাওয়ার পথেসেলিম মীরকে মারধর করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে কাকারবাড়িতে কেউ যায়নি। আমার সমর্থকদের ঘায়েল করতে মিথ্যা অজুহাতে হোসেন গুলিকরেছে।
কালিয়া থানার ওসি শেখ তাসমীম আলম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা দায়েরকরা হয়েছে। পলাতক আসামিদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থলেপুলিশ টহলে রয়েছে। কাকা মোল্যার লাইসেন্সকৃত বন্দুকটি জব্দ করা হয়েছে।
পত্রিকা একাত্তর/হাফিজুল নিলু
আপনার মতামত লিখুন :