হরিপুর কাঠালডাঙ্গীতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজেই ১০ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা


উপজেলা প্রতিনিধি, হরিপুর প্রকাশের সময় : ২৩/০৫/২০২৩, ৮:৩০ অপরাহ্ণ /
হরিপুর কাঠালডাঙ্গীতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজেই ১০ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা

ঠাকুরগাঁয়ের হরিপুর উপজেলার ৬নং ভাতুরিয়া ইউনিয়নের কাঠালডাঙ্গী নাড়িয়া চোকা খালের উপর ৩৮ বছর পূর্ব নির্মিত ব্রিজটি অবস্থা নর-বড় হয়ে বর্তমান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ওই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটির উপর দিয়ে যানবাহন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ ১০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত করছে।

এত জন দূভোগ ভুগছে মানুষ এবং যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বর্ষা নামার আগেই ওই স্থানে নতুন ব্রীজ নির্মানের দাবি করেছেন এলাকা বাসি। হরিপুর উপজেলা থেকে প্রায় ১২ কিঃমিঃ দূর চোরঙ্গী চৌরাস্তা থেকে -কাঠালডাঙ্গী গামী পাকা সড়ক মহিলা কলেজের সামনে ১৯৮৫ সাল নাড়িয়া চোকা খালের উপর নিমির্ত হয় ব্রীজটি। এটি নাড়িয়া চোকা ব্রীজ নাম পরিচিত।

স্থানীয়রা জানায়, এই ব্রিজের উপর দিয়ে কাঠালডাঙ্গী মহিলা কলেজ, আর-এ কাঠালডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আসলেউদ্দিন মাদরাসা, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এতিমখানা এ সকল প্রতিষ্ঠানর ছাত্র-ছাত্রীরা যাতায়াত করে। এখান একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য, ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলার ২য় বৃহত্তর কাঠালডাঙ্গী হাট রয়েছে।

এ ছাড়াও বহতি, মাগুড়া, মুলকান, শিশুডাঙ্গী, মহদ্রগাঁও, জিগাঁও, পাটনপাড়া, যাদবপুর গোপালপুর এই ১০ টি গ্রামের মানুষের একমাত্র পথ চলাচলের ভরসা। বর্ষার সময় খালের পানির প্রবাহর স্রোত বেশি হওয়ার কারনে ব্রীজের দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে ব্রীজটি নর-বড় হয়ে পরছে । ওই অবস্থায় দীর্ঘ দিন ধরে মানুষ ও বিভিন যানবাহন জীবন ঝুঁকি নিয়ে দিন-রাত কোনো মত চলাচল করছে। ইতিমধ্যই এখানে কয়েকটি দূর্ঘটনাও ঘটেছ। বর্ষা মৌসুমে আসার আগেই এখান একটি নতুন ব্রীজর জরুরী প্রয়োজন। না হলে পুরা ব্রীজটি ধসে পড়লে ১০টি গ্রামের মানুষ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা বাণিজ্য, হাট-বাজার, জরুরী চিকিৎসা নিয়ে মহা বিপদের মধ্যে রয়েছে। কারণ এই রাস্তাটি ছাড়া উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের আর কোন বিকল্প রাস্তা নাই। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহজাহান সরকার বলেন এই ঝুঁকি পূণ্য ব্রীজটির বিষয় সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরক জানানা হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মাইনুল ইসলাম বলেন, জরুরী ভিত্তিতে এই জনবহুল এলাকার ব্রীজটি দ্রুত নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরকে জানানো হয়েছে অর্থ বরাদ্দ পেলেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই ব্রীজর কাজ করা হবে।

পত্রিকা একাত্তর/ সুজন