নিখোঁজ হওয়ার ৫ বছর পর ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে সনাক্ত হলো মোবারকের লাশ। মোবারক ঢাকার কিশোরগঞ্জের ভৈররপুর উত্তর পাড়ার ফজলুল হকের পুত্র। এ ঘটনার পর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম।
এরশাদুল আলম বলেন, হাতীবান্ধার মিলনবাজারে আকস্মিক ভাবে এক অজ্ঞাত যুবক মারা যায়। লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে লালমনিরহাট মর্গে প্রেরণ করেন। এদিকে পাশাপাশি এলাকার লোক না হওয়ায় ১ দিনেও লাশের পরিচয় যানা যায়নি। এ ধরনের অবস্থা দেখে লাশের ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে অজ্ঞাত লাশের পরিচয় সনাক্ত করতেও সক্ষম হয় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের চৌকসদল। এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ দাফনের চেস্টা করে আন্জুমান মফিদুল। কিন্তু আমি দাফন করতে না দিয়ে নিজ খরচে লাশ ফ্রিজাব করে রাখার ব্যবস্থা করি। লাশের ঠিকানা সনাক্ত করে নিকটবর্তী থানায় খবরও পাঠানো হয়। খবর পেয়ে মুরাদ হোসেন তার ছোট ভাইয়ের লাশ সনাক্ত করেন।মারা যাওয়া মোবারকের বড়ভাই মুরাদ কিশোরগঞ্জের ভৈরবপুর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের কর্মচারী। তিনি আবেগআপ্লুত হয়ে বলেন, ৫ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া মোবারক মারা গেছেন, এ ধরনের সংবাদ আমাদের কাম্য ছিলনা। কেননা নিখোঁজের পর থেকে তাকে হন্যে হয়ে খোঁজা হলেও কোন সে সময় কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস সেটাই হলো। তিনি আরো বলেন, ৫ বছর আগে আমার ভাইয়ের বিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু ১৫ দিনের মাথায় পালিয়ে যায় নববধূ। তখন আমার ছোটভাই মোবারক মানুষিক ভারসাম্য হারিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজকে মিলল তার লাশের খবর। এটি খুবই দু:খজনক। মারা গেলেও মোবারকের সন্ধান মিলায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই ওসি এরশাদুল আলমকে। কেননা তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও আন্তরিকতায় মিলল ৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মোবারকের মিলল মৃতদেহ।
মঙ্গলবার বিকেলে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাতীবান্ধা থানা অফিসার এরশাদুল আলম।
পত্রিকা একাত্তর/ লুৎফর রহমান