জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ছেলের পরিবার কতৃক বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে অপমান করায় সুমাইয়া আক্তার সুমা (১৬) নামে এক স্কুল ছাত্রী বিষ খেয়ে আত্নহত্যা করেছে।
শনিবার ( ১৪ মে ) দিবাগত রাতে উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের বুরুঙ্গা বৈঠাখালি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত সুমা, ওই এলাকার জুলফিকার আলীর মেয়ে।তিনি মেলান্দহ রাবেয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
রোববার সকাল সাড়ে ১১ টায় মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বুরুঙ্গা এলাকার আমজাদ হোসেন কালুর ছেলে ইয়াসিনের (২১) সঙ্গে সুমা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে দুই পরিবারের মধ্যে বিয়ের আলাপ আলোচনা চলছিল, কিন্তু বিয়ের ব্যাপারে আপত্তি জানায় ছেলের পরিবার।
গতকাল শনিবার দুপুরে ইয়াসিন দেখা করার জন্য সুমাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়ী ফিরে রাত ৭টা দিকে বিষ পান করে সুমা। পরে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জামালপুর সদর নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সুমার মৃত্যু হয়।
নিহত সুমা আক্তারের মা রোজিনা বেগম বলেন, আমার মেয়ে ফুলের মতো, এ ঘটনা কখনো ঘটাতে পারে না। পাশের এলাকার ইয়াসীন এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমরা আগে জানতাম না। ঈদের কয়েকদিন আগে ইয়াসীন এর সাথে সারাদিন একসঙ্গে ছিল সুমা। তারপর থেকেই ইয়াসীনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদেরকে বলে। বিয়ের জন্য কথা বললে কালু বিয়ে করতে রাজি হয়নি। আমার মেয়ের সাথে প্রতারণা করেছে ইয়াসীন।
নিহতের মামা মাহফুজুর রহমান বলেন, মূলত ছেলের পরিবার বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় অপমান সহ্য করতে না পেরে সুমা বিষপানে আত্মহত্যা করে। আমরা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি বলেও জানান তিনি।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ময়নুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। কি কারণে আত্মহত্যা তদন্ত চলছে।
পত্রিকা একাত্তর /সাকিব আল হাসান নাহিদ