উৎসবমুখর পরিবেশে টানা দশ কার্যদিবসে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ১২–১৭ বছর বয়সী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৫ হাজার শিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধী ফাইজার টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
সোমবার (১৭ই জানুয়ারী) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ডোমার উপজেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দশম দিনের মতো উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রায়হান বারী'র বাস্তবায়নে করোনা প্রতিরোধে ফাইজার টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
ডোমার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাকেরিনা বেগমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করেন—ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (এমওডিসি) ডা. আবুল আলা, ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. বেলাল উদ্দীন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মো. হাবিবুর রহমান, উৎসর্গ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি মো. নুর আলম প্রমুখ সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স, মিডওয়াইফ ও জানো প্রকল্পের ডোমার উপজেলা পর্যায়ের স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ।
ডোমার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাকেরিনা বেগম জানান, ডোমার উপজেলার ১৯ হাজার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতোমধ্যে করোনা প্রতিরোধী ফাইজার টিকা ১৫ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর মাঝে প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের বাকি চার হাজার শিক্ষার্থীকে প্রতিদিনের ন্যায় টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থীকেও সরকারের নির্দেশ মোতাবেক টিকার আওতায় আনতে প্রস্তুত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগ।