“বিশ্বের-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ ৮মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় কর্তৃক এই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। অদ্য সকাল ১০.৩০ মিনিটের সময় গোয়ালন্দ উপজেলা চত্তরে দিবসটি উৎজাপন উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ও গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র জনাব নজরুল ইসলাম মন্ডল উক্ত র্যালিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব জ্যোতি বিকাশ চন্দ্রের সভাপতিত্বে ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা বেগমের পরিচালনা সভায় বক্তব্য রাখেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র জনাব নজরুল ইসলাম মন্ডল, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বাবু গনেশ চন্দ্র পাল সহ উপজেলা মহিলা লীগের নেত্রীবৃন্দ। গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র জনাব নজরুল ইসলাম মন্ডল তার বক্তব্যে বলেন, নারীদের সম্মানীত করেছেন জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যুদ্ধ বিধ্বস্থ বাংলাদেশে যখন অনেক নারী তাদের মা,বাবা, ভাই,বোন ও সম্ভ্রম হরিয়ে তাদের পরিচয় দিতে পারছিলো না তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলো তাদের বাবার নামের জায়গায় লিখ শেখ মুজিবুর রহমান আর ঠিকানা লিখ ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ী। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার যুদ্ধে যে মহিয়সী নারী বঙ্গবন্ধুকে বুদ্ধি, সাহস, অনুপ্রেরণা দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে দিয়েছে এবং অনেক সময় সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেছেন তিনি হলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র তার বক্তব্যে বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী তার নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। এখানে সে যে নারী তা ভাবার কোন কারণ নাই তাকে মনে রাখতে হবে তিনি একজন মানুষ। আমরা যদি আমাদের পরিবার থেকে নারীদের অধিকার ও সম্মান করতে পারি তাহলে নারী পুরুষ সমতা চলে আসবে এবং একটি সুস্থ সমাজ তৈরী হবে। আজ দেশের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বে নারীরা রয়েছে। তারা নিজেদের নারী ভাবে না তারা নিজেদের একজন মানুষ ভেবে ভালো কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা যেন পরিবার থেকে ছেলে মেয়ে বিভেধ সৃষ্টি না করি সে দিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। দেখা যায়, ছেলেদের ক্ষেত্রে ভালো খাবার, ভালো পোষাক, ভালো স্কুলে পড়ানো আর মেয়েদের ক্ষেত্রে কোন রকম খাবার, পোষাক আর শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্ব কম এটা থেকে যেন আমরা বিরত থাকি। আমাদের মনে রাখতে হবে ছেলে মেয়ে সমান সুযোগ পাবে সব ক্ষেত্রে। তাহলে মেয়েরাও দেশের যোগ্য নাগরীক হিসেবে গড়ে উঠবে এবং দেশ গঠনে তারা ভুমিকা রাখবে। নারীরা যদি উদ্ধ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চান তাহলে সরকার আপনার সাথে আছে। আপনাদের সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহয়োগীতা করা হবে। আমি মনে করি নারীরা পারবে।
গোয়ালন্দে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন
৮ মার্চ, ২০২৪, ৭ months আগে