অবশেষে সেন্সর জটিলতা কাটিয়ে আগামী ২ জুন প্রেক্ষাগৃহে আসছে চোরাচালান আর সীমান্ত এলাকার মানুষের জীবনচক্র নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘সুলতানপুর’।
আসাদ জামানের গল্পে এবং সৈকত নাসিরের পরিচালনায় নির্মিত ছবিটিতে অভিনয় করেছেন সাঞ্জু জন, অধরা খান ,আশীষ খন্দকার, সুমন ফারুক, রাশেদ মামুন অপু, মৌমিতা মৌ, শাহিন মৃধা, ইমরান হাসো প্রমুখ।
গত সোমবার সন্ধ্যায় ‘সুলতানপুর’ছবির ট্রেলার প্রকাশ পায়। ট্রেলার মুক্তির পর ছবিটি নিয়ে নির্মাতা সৈকত নাসির বলেন, সুলতানপুর ছবিতে বড় একটি ক্যানভাস রয়েছে। এটি বর্ডার এলাকার গল্প। নানা রকম নাটকীয় উপাদানের মিশ্রণে ছবিটির গল্প তৈরি হয়েছে। আমি জানি এই ছবিটি আমার কাছে স্পেশাল কিছু, কারণ আমি সর্বোচ্চ দিয়ে এটা বানিয়েছি। তাই এটা যেন সর্বোচ্চ মানুষ দেখেন কিংবা দেখতে পান সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সিনেমাটিতে একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা ইমরান হাসো। সিনেমায় তার চরিত্রটির নাম ছিলো শম্ভু যে কিনা একজন কিলার। “সুলতানপুর” নিয়ে অভিনেতা ইমরান হাসো বলেন, আমি সাধারণত হাস্যরসাত্নক চরিত্রে অভিনয় করতে পছন্দ করি। তাই বলে খল চরিত্রে অভিনয় করি না তেমন না। আমি অভিনয় শিল্পী তাই সব চরিত্রে অভিনয় করতে হয়। সৈকত নাসির স্যারের “সুলতানপুর” সিনেমায় আমাকে একজন কিলার চরিত্রে দেখা যাবে। আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম একটি সিনেমা সুলতানপুর। এই সিনেমায় শ্যুটিং সময় আমরা অনেক কষ্ট করেছি। সবাই এই সিনেমা নিয়ে আশাবাদী। সুন্দর গল্পের একটি সিনেমা। আমাকে সবাই ভিন্নভাবে দেখবে। আগামী ২ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে সুলতানপুর। আপনারা সবাই হলে গিয়ে আমাদের সিনেমাটি দেখবেন আমি কথা দিচ্ছি ভালো লাগবে। আমি সৈকত নাসির স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে এত সুন্দর একটি চরিত্রে আমাকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। এই সিনেমায় যারা অভিনয় করেছেন সবাই শক্তিশালী অভিনেতা আমি ইমরান হাসো সবচেয়ে কমবয়সী অভিনেতা এই সিনেমায় অভিনয় করেছি। বাংলা সিনেমার জয় হোক।
অভিনেতা ইমরান হাসো ২০১৫ সালে এনটিভি হা-শো রিয়েলিটি শো এর পারফর্মার হিসেবে মিডিয়াতে পা রাখেন , বর্তমান মিডিয়ায় পরিচিত মুখ ইমরান হাসো।দীপ্ত টিভির জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক “বকুলপুর” এ রকেট চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক দর্শক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন যার কারনে ইমরান হাসো দর্শকদের কাছে রকেট নামেই বেশি পরিচিত। ইতিমধ্যে ২৫০ টি নাটক এবং প্রায় ২০ টি মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তিনি অভিনয় শিল্পী সংঘের একজন সদস্য। থিয়েটারে এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র এবং রঙ্গনা নাট্যগোষ্ঠীর একজন নাট্যকর্মী।
গত সেপ্টেম্বরে ‘বর্ডার’ নামে সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয় সিনেমাটি। সেসময় সিনেমার অনেক জায়গায় সেন্সর নীতিমালার ‘অসংগতি’ রয়েছে জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, প্রযোজক ও পরিচালক চাইলে এক মাসের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সেন্সর বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে আপিল করতে পারবেন। আপিল না করলেও সেন্সর বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী পরিমার্জন করে আবারও সিনেমাটি জমা দেওয়া যাবে।
নীতিমালা অনুযায়ী পরিমার্জন করে চলচ্চিত্রটির নাম পরিবর্তন করে আবার জমা দেন নির্মাতা । পরে বর্ডার এর পরিবর্তে সুলতানপুর নামে সিনেমাটি মুক্তির অনুমতি পায় এবং সেন্সর বোর্ডে প্রশংসিত হয় সিনেমাটি। সুলতানপুর ছবির প্রকাশিত ট্রেলারে সীমান্তবর্তী সুলতানপুর গ্রামের রাজনীতি, চোরাচালান, বাটপারি, ক্ষমতা, মাদকপাচার, মাদকসম্রাটসহ অনেক বিষয়ই ওঠে এসেছে। এগুলো ছবিটির প্রতি কৌতূহলী করেছে নেটিজেনদের। এমনটাই জানাচ্ছেন সুলতানপুর চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।
পত্রিকা একাত্তর/ নয়ন কুমার
আপনার মতামত লিখুন :