বাংলাদেশে প্রথম নড়াইল শহরে ব্যতিক্রমী ও নান্দনিক ৩ কিঃ মিঃ পথচিত্র অংকনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গতরাত ধরে এ কর্মযজ্ঞকে সফল করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়, পথচিত্র বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক নড়াইল
সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রবিউল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নড়াইলের সভাপতি মলয় কুন্ডু, জোটের সাধারন সম্পাদক শরফুল
আলম লিটুর নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক কর্মীরা ।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, পথচিত্র বাবায়ন কমিটি, নড়াইলের উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সহযোগিতায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বর থেকে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের কুরিরডোব মাঠ পর্যন্ত এ পথচিত্র অংকন করা হয়েছে।
গতসন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত তিন শতাধিক ভলেন্টিয়ার ও চিত্রশিল্পী ১১টি সেক্টরে বিভক্ত হয়ে এ কাজ সম্পন্ন করেছেন।
এস এম সুলতান বেঙ্গল আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ চিত্রশিল্পী অনাদী বৈরাগী বলেন, পথচিত্রে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বিশ্মোত্বক ঘটনা, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন যেমন রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, কর্ণফুলি টানেল, পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, বিভিন্ন বর্ণমালা, স্বাধীনতার বিভিন্ন শ্লোগান, গ্রাম বাংলার চিত্র, আল্পনা ইত্যাদি স্থান পাবে।
নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ এবং পথচিত্র বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে।
এজন্য প্রায় ৪ হাজার লিটার রং এর প্রয়োজন ছিল, যার মূল্য প্রায় ১৬ লাখ টাকা। এ রং এর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন নড়াইল-২ আসনের এমপি জনাব মাশরাফি বিন মুর্তজা। সারা বাংলাদেশে এ ধরণের পথচিত্র এই প্রথম বলে তিনি মন্তব্য করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন,এটা একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন যা
আমরা করতে সক্ষম হয়েছি। এতে করে নতুন প্রজন্ম প্রগ্রতিশীল শিক্ষা পাবে।
এ জন্য আমরা নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তুজা মহোদয়ের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
পত্রিকা একাত্তর/ হাফিজুল নিলু