খুলনার দাকোপ উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার লক্ষে বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে মানববন্ধন ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকে হামলা মামলায় অভিযুক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ এনে গতকাল রোববার বেলা ১২টার দিকে দাকোপ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বলা হয় মানববন্ধনের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত ও সামাজিক এবং রাজনৈতিক ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।
এসময় পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ অপচেষ্টার প্রতিকার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দাকোপ উপজেলার চুনকুড়ি গ্রামের বৈশাখী বিশ্বাস।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চুনকুড়ি মৌজায় আমাদের বাপদাদার পৈত্রিক বসতভিটাসহ ১১ দশমিক ৬৪ একর জমিতে দীর্ঘদিন যাবৎ শান্তিপূর্ন ভোগ দখলে আছি। গত ১৪ ডিসেম্বর সকালে শ্রমিক নিয়ে ওই জমির ধান কাটতে গেলে স্থানীয় প্রভাবশালী রবীন্দ্রনাথ মোড়লের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সেখানে বাঁধা দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় হামলাকারীরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ভাই দেবাশীষ বিশ^াসসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং কর্মরত ধানকাটা শ্রমিকদের বেধড়ক মারপিট ও কুপিয়ে রক্তাত্ব জখম করে। এতে দেবাশীষ মারাত্মক জখম হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।
বৈশাখী বলেন, এ ঘটনায় পরিবারের সদস্যসহ শ্রমিকদের অভিযুক্ত করে একটি হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে। এ মামলায় আমার আর এক ভাই বিধান বিশ্বাস ঘটনাস্থলে না থাকলেও তাকে এজাহারে ২ নম্বর আসামী করা হয়েছে। এছাড়া তার সামাজিক এবং রাজনৈতিক ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষে বিএনপি, জামায়াত ও শিবির আখ্যায়িত করে একটি মহল মানববন্ধন করে। যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক ও হয়রানি করার চেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগের সমর্থক। সদ্যসমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে বাজুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রেজুলেশন ও সুপারিশে ভাই বিধান বিশ্বাস দাকোপ উপজেলা ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চুড়ান্ত মনোনয়নের জন্য প্রেরিত ৩ জনের প্যানেল প্রার্থীর অন্যতম একজন ছিল। চুড়ান্ত মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও দলের নীতি আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে নৌকাকে বিজয়ী করতে দলের নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছে। এ ব্যাপারে বাজুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অপরাজিত মণ্ডল অপু বলেন, বিধান বিশ্বাসের নাম আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে নেই। তবে তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থক। ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে তার নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। তবে জমির ধান কাটার ঘটনায় যাদেরকে নিয়ে এসেছিল তারা মূলক বিএনপি, জামায়াতের লোক ছিল।
খুলনা প্রতিনিধি।