বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার একমাত্র শিশুপার্কটি সংস্কারের অভাবে অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে। উপজেলার শত শত কোমলমতি শিশু পার্কটি সংস্কারের অভাবে খেলাধুলা ও চিত্ত বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । ৮০ দশকে শিশুদের বিনোদন ও খেলাধুলার জন্য মোল্লাহাটে একটি পার্ক নির্মান করা হলেও পরবর্তীতে অযত্নে আর অবহেলায় বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে।
৮০ দশকে মোল্লাহাটে শিশুদের বিনোদন ও খেলাধুলা করার জন্য ১২ শতক জমির উপর একটি শিশুপার্ক নির্মান করে সরকার- কয়েক বছর তা ঠিকঠাক ভাবে চললেও অযত্ন আর অবহেলায় সম্পূর্ণ খেলাধুলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে পার্কটি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মোল্লাহাটের শিশু পার্কটি অনেক বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পার্কের মধ্যে শিশুদের চিত্ত বিনোদন এবং খেলার জন্য দোলনা , সিড়ি, মঈ, এবং মাঠের ভেতরে বেঞ্চ নির্মান করা হয়ে ছিল। শিশু পার্কটি স্থাপনের পর থেকে শিশুদের আনাগোনা ভাল ছিল। শিশুরা তাদের মা-বাবার সাথে এসে পার্কটিতে খেলাধুলা করতো সময় কাটাতো। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় শিশু পার্কে স্থাপিত লোহা ও প্লেনসিট মরিচা ধরতে থাকে। এগুলো সংস্কারের না করায় কয়েক যুগ ধরে পড়ে আছে পার্কটি, দেখার জন্য কেউ নেই। বর্তমানে পার্কটি গো-চারণ ভুমিতে পরিনত হয়েছে।সংস্কার করার কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় আস্তে আস্তে খেলনা গুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
শিশু প্রতিনিধি সজীব কুমার সরকার বলেন, সেই ছোট বেলা থেকে আমরা এখানে খেলাধুলা করে বড় হয়েছি কিন্তু আমাদের বর্তমান শিশুরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত। এখানকার শিশুপার্কটির মালামাল ব্যববহারের অনুপযোগী, নষ্ট এখানে খেলাধুলা করলে প্রতিনিয়ত শিশুরা আহত হয় কেটে ছিড়ে যায়। আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি যাতে দ্রুত পার্কটি সংস্কার করে শিশুদের ব্যবহার উপযোগী করে।
স্থানীয় শিশু মেহরাজ বলেন, খেলাধুলা করবো কি? পার্কের জিনিসপত্রতো সব মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। সেখানে স্লিপারে স্লিপ খেতে গেলে আমাদের প্যান্ট ছিড়ে যায় শরীর কেটে যায়। এখন সরকার যদি পার্কটি দ্রুত সংস্কার করে দিতো তাহলে আমরা খুশি হতাম এবং ভালভাবে খেলাধুলা করতে পারতাম।
স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে সাজ্জাদ আল-ইসলাম মঈন বলেন, পার্কটি ৮০ দশকে সরকার নির্মান করেন। ৯০ দশকে পার্কটি একবার সংস্কার করা হয়েছিল কিন্তু এর পর থেকে এই পার্কটির আর সংস্কার করা হয়নি। পার্কটির দেখবাল করার জন্য তেমন কেউ নেই। তাই আমি এলাকাবাসীর পক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি পার্কটি সংস্কার বা নতুন করে নির্মান করে খেলাধুলার উপযোগী করে তুলে, যাতে শত শত শিশুর খেলাধুলার মাধ্যমে তাদের মেধার বিকাশ ঘটে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদ হোসেন বলেন, মোল্লাহাটে একটি শিশু পার্ক আছে। যেটি ৮০ দশকে করা হয়েছিল বর্তমানে পার্কটির অবস্থা খুবই খারাপ। আমি ইতোমধ্যে পার্কটি পরিদর্শন করেছি। কেবা কাহারা পার্কটি করেছিল তা খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে আমরা এই পার্কটি সংস্কার করবো অথবা নতুন একটি পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা করছি যাতে মোল্লাহাট উপজেলার শিশুরা খেলতে পারে এবং তাদের যাতে বিনোদনের ব্যবস্থা হয়।
মোল্লাহাট উপজেলা প্রতিনিধিঃ সৌরভ কুমার।