শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশেই মিলছে তামাকপণ্য; ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

উপজেলা প্রতিনিধি, হরিনাকুণ্ডু

৭ এপ্রিল, ২০২২, ২ years আগে

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশেই মিলছে তামাকপণ্য; ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
ফাইল ছবি | পত্রিকা একাত্তর

আইনের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশের দোকান কিংবা ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা দেদারসে বিক্রি করছে সিগারেট । এতে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। পাশাপাশি অপ্রাপ্ত বয়সেই অনেকে ধূমপানে জড়িয়ে পড়ছে ।

আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় কোমলমতী শিক্ষার্থীরা পরোক্ষ ধুমপানের শিকার হচ্ছে । কোথাও আবার অপ্রাপ্তবয়স্করাই সিগারেট বিক্রি করছে।

ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ ধূমপান মুক্ত। আইনের ৭ ধারায় পাবলিক প্লেসে (জনসমাগম স্থান) যাতে ধূমপানের ধোঁয়া প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আইন লঙ্ঘনে অনধিক তিনশত টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং দ্বিতীয়বার করলে দ্বিগুণ হারে দন্ডনীয় হবেন ।

কিন্তু স্কুলের পাশেই তামাক বিক্রয়কেন্দ্র থাকলে এই আইন কখনই বাস্তবায়ন করা যাবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা ।অন্যদিকে আইন বাস্তবায়নে প্রয়োজন নজরদারি।

হরিণাকুন্ডু প্রিয়নাথ স্কুল এন্ড কলেজের পাশের দোকান গুলোতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় চা-সিগারেট। স্কুলের পাশে সিগারেট বিক্রি আইনে মানা এমন তথ্য অনেকেরই জানা নেই। কখনো সরকারের কেউ এইসব দোকানে এসে এমন আইন সম্পর্কে জানাননি। দোকানে কখনো সিগারেট বিক্রির বিরুদ্ধে কোনো অভিযানও হয়নি। বরং মাঝেমধ্যে স্কুলের শিক্ষার্থীরাও এইসব দোকান থেকে সিগারেট কেনে।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে সিগারেট বিক্রির জন্য প্রথম দফায় পাঁচ হাজার টাকা এবং পরবর্তীতে দ্বিগুণ হারে জরিমানার কথা বলা হলেও বাস্তবে এর কোনো প্রয়োগ দেখা যায় না।

জোড়াদহ কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম বলেন, স্কুলের পাশে ধূমপানে শিক্ষার্থীরা শৈশবে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। আবার অনেকে ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়ে। এতে তাদের মস্তিষ্কে নেতিবাচক চাপ পড়ে।তাই প্রশাসনের উচিত এই বিষয়ে সাধারন মানুষকে জানানো এবং আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা।

পত্রিকা একাত্তর/ মাহফুজুর রহনান উদয়

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news