১৯ তম হয়ে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেলো সুমন

শেরপুর, বগুড়া প্রতিনিধি

শেরপুর, বগুড়া প্রতিনিধি

২৩ এপ্রিল, ২০২২, ২ years আগে

১৯ তম হয়ে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেলো সুমন
পুলিশ কনস্টেবল

বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল পদে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ১২০ টাকা ব্যয়ে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন ৯৪ জন চাকরিপ্রার্থী। এরমধ্যে ৮০ জন পুরুষ ও বাকি ১৪জন নারী।তার মধ্যে ঐ জেলার ধুনুট থানার অন্তর্ভুক্ত গোঁসাই বাড়ী ইউনিয়ন এর চুনিয়া পাড়ার বাসিন্দা মোঃ মহাসীন আলীর ছেলে মোঃ সুমন মেধা তালিকায় ১৯ তম হয়ে চূড়ান্ত ভাবে মনোনীত হয়েছে।

বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে বগুড়া পুলিশ লাইন্স অডিটরিয়ামে জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী এ তথ্য জানান। এ সময় নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত পুলিশ কনস্টেবলদের অভিনন্দন জানিয়ে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়।

জানা যায়, ২০২২ সালে সারাদেশের ন্যায় বগুড়া জেলাতেও পুলিশের “ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে” ৭ টি ধাপের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

গত ২৯ মার্চ একশ টাকা ব্যাংক ড্রাফট করে বগুড়া পুলিশ লাইনে ৩ হাজার ২৬০জন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন ধাপ শেষ করে ৯২৫জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ২৫৬পাশ করেন। পরে মৌখিক পরীক্ষা শেষে ৮০জনকে চূড়ান্ত ও ১৪জনকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করে ফল প্রকাশ করা হয়।

ফলাফলে ধুনুট থানায় প্রথম ও জেলার ১৯ তম হওয়ার করনে সুমন জানান,তার বাবা একজন কৃষক তিনি ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন পুলিশের চাকরির করার।

এরই ধারাবাহিকতায় ও নিজ লক্ষ্য পৌঁছানোর জন্য গত বছর প্রথম বারের মতো দিয়েছিলেন পুলিশের নিয়োগ পরীক্ষা প্রত্যেক ধাপে উত্তীর্ণ হলেও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন নি।কিন্তু তাকে তো থামলে চলবে না তার লক্ষ্যে তো তাকে পৌছাতে হবে।

ভালো ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ২০২২ সালে পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষা অংশ গ্রহন করেন। চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর তিনি খুব আনন্দিত।সুমন সদ্য এইচএসসি পাশ করেছে। চাকরি পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।এদিকে তার বাবা মোঃ মহাসীন আলী জানান, তার তিন ছেলে এক মেয়ে। তিনি একজন কৃষক।

নিজ যোগ্যতায় তার ছেলে চাকরি পাওয়ার কারনে তিনি খুব খুশি হয়েছেন।অপর দিকে সুমনের পাড়াপ্রতিবেশী বন্ধু আত্মীয় স্বজন সকলে সুমনের পুলিশে চাকরি হওয়ায় শুভকামনা জানিয়েছেন।

অন্য দিক পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, ‘সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে আমরা ৯৪জনকে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দিয়েছি। যাদের অধিকাংশ হতদরিদ্র।

নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দালাল ও প্রতারক চক্রকে দমন করার চেষ্টা করেছি এবং সক্ষম হয়েছি। সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও সুন্দরভাবে নিয়োগ পরীক্ষা আমরা সম্পন্ন করেছি।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) আব্দুর রশিদ, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম, নওগাঁ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবতাব উদ্দিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজল ই খুদাসহ জেলার অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা।

পত্রিকা একাত্তর /মোঃ নুরআলম

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news