চট্টগ্রাম মহানগরীতে ডিজেল বা গ্যাস চালিত যানবাহন' নামক স্টিকার ছাড়াই চলছে সবধরনের গণপরিবহন। কিন্তু আইন না থাকায় কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
সম্প্রতি ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিতে কেবল ডিজেল চালিত গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি করে সরকার। সে সুযোগে গ্যাস চালিত গণপরিবহনগুলোও বেশি ভাড়া আদায় করতে শুরু করে। এরপর ডিজেল নাকি গ্যাসচালিত পরিবহন তা চিহ্নিত করতে গাড়িতে স্টিকার (গ্যাস বা ডিজেল চালিত যানবাহন) লাগানো বাধ্যতামূলক করে সিএমপি। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় সব গণপরিবহনে স্টিকার লাগানোর কাজ শেষ করে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই স্টিকার উধাও। এরপর ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ের সুযোগ পাচ্ছেন তাঁরা।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর)
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, নগরীর চকবাজার, কোতোয়ালী, কর্ণফুলী ব্রীজ, বাকলিয়া, বহদ্দারহাটসহ এর আশেপাশের সব এলাকার গণপরিবহনে কোনো ধরণের স্টিকার নেই। গ্যাস চালিত গণপরিবহনও বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।
স্টিকার না থাকার কারণ জানতে চাইলে ড্রাইভাররা জানান, স্টিকার আগে ছিলো, এখন নষ্ট হয়ে গেছে। পুলিশের চাপ আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে একজন ড্রাইভার বলেন, "কই, পুলিশতো কিছু বলেননি"।
পুলিশের উদাসীনতাকে দায়ী করে যাত্রীরা বলছেন, স্টিকার লাগিয়েই সিএমপির দায়িত্ব শেষ। তদারকির খবর নেই। এসব লোকদেখানো কার্যক্রমের সমালোচনাও করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে সিএমপি'র (ট্রাফিক-দক্ষিণ) সহকারী কমিশনার শরিফুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি দৈনিক দেশ বার্তা'কে জানান, "ড্রাইভাররা ইচ্ছাকৃতভাবেই স্টিকার ছিড়ে ফেলে। এ ক্ষেত্রে আইন না থাকায় আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। তাই আমরা কিছুই করতে পারছিনা। তবে আমরা আগামীতে মালিককে দিয়েই গাড়িতে লেখানোর কথা ভাবছি। আশা করি তাতে মোটামুটি সফল হব ইনশাল্লাহ"।
ইসমাইল ইমন (চট্টগ্রাম মহানগর)।