জনসংখ্যার ভিড়ে জনশক্তির অভাব, সমাধানে তারুণ্যের ভাবনা: গাজী ইব্রাহিম খলিল


জেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর প্রকাশের সময় : ০৩/০৪/২০২৩, ১১:০১ অপরাহ্ণ /
জনসংখ্যার ভিড়ে জনশক্তির অভাব, সমাধানে তারুণ্যের ভাবনা: গাজী ইব্রাহিম খলিল
আজ বাংলাদেশের বড় সমস্যা বেকারত্ব। অন্যদিকে দেশের চাকরির বাজারে যোগ্য লোকের অভাবে ভারত বা বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী এনে কাজ করাচ্ছে।

এ সমস্যা সমাধানের জন্য, সরকার দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চল পর্যন্ত প্রশিক্ষণকেন্দ্র দিয়েছে।
সেগুলো হলো:
☞যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর
☞কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
☞সমাজসেবা অধিদপ্তর সহ অনেক প্রতিষ্ঠান।

এ প্রতিষ্ঠান গুলো প্রতিনিয়ত এ সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে অথচ এর প্রতিফলন দেখছি না। এর কারণ কি!
এর কারণগুলো হলো-
১) টেনে-টুনে শিক্ষাদান।
২) স্বল্প সময়ের অভিজ্ঞতায়, সংশ্লিষ্ট কাজ করা অসম্ভব।
৩)নিদিষ্ট একটা কোর্স করার পর, সেই কোর্সের উপর কাজ না পাওয়ায়, তা ভুলে যাওয়া।
৪)প্রশিক্ষকরা প্রশিক্ষনার্থীদের কোর্সের শেষ দিন পর্যন্ত যেতে পারলেই, মনে করে দায়িত্ব শেষ। অথচ প্রশিক্ষনার্থীর কতটুকু উপকার হয়েছে তার কোন চিন্তাভাবনা নাই।
৫)সরকারি প্রতিষ্ঠান বলে কোনো মতে দায় সারা প্রশিক্ষণ দেওয়া।

অতএব এই প্রশিক্ষণ দিয়ে, সমস্যা সমাধান করা প্রায় অসম্ভব।

সমাধান: 
প্রথমত: আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন হতে হবে যে, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, শিক্ষার্থীদের জন্য একটা IQ test করে, তাদের প্রতিভা যাচাই করে নিতে হবে। দেখতে হবে কে কোন বিষয়টি ভালো বুঝবে বা দক্ষ হবে।তাকে সেই বিষয়ের উপর ক্লাস করাতে হবে। যেখানে তার উপযোগী ডিপার্টমেন্ট আছে, সেখানে তাকে স্থানান্তরিত করতে হবে। তারপর তাকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর পরিপক্ষ করে, কাজে নিয়োগ দিতে হবে।

এদেরকে সৎ রাখতে ইসলামী শিক্ষা অর্থাৎ আল্লাহর ভয়ের বিকল্প নেই। তাই ইসলামি শিক্ষা বইটিকে, শুধুমাত্র ধর্মশিক্ষা হিসেবে সীমাবদ্ধ না রেখে। একজন বিশ্বস্ত ও সৎ মানুষ হওয়ার কারিগর হিসেবে কাজে লাগাতে হবে। আর অন্য ধর্মের শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের ধর্ম শিক্ষা অনুযায়ী সৎ করতে হবে।

দ্বিতীয়তঃ যারা এখনো বেকার, কোন কাজের উপর দক্ষ না। তাদের জন্য যুব উন্নয়ন,কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ আরও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলো যে গতানুগতিক পদ্ধতি চালু রাখছে সেগুলোর আংশিক পরিবর্তন করতে হবে। অর্থাৎ তারা বিভিন্ন কোম্পানির থেকে নিয়োগ সার্কুলার সংগ্রহ করে সে অনুযায়ী যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশিক্ষিত করে, চাকরি-পরীক্ষায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে, চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এতে করে ফ্রি কোর্স না করে বরং তাদের পিছনে যে শ্রম ও অর্থ ব্যয় করছে তাদের কয়েক মাসের বেতন থেকে নির্দিষ্ট হারে বেতন কেটে নিবে।এমনি করে সরকার এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেকগুলো টাকা বাজেট না দিয়েও কাঙ্খিত সফলতা পাবে।

উপরোক্ত প্রতিষ্ঠান গুলোর সাফল্য রয়েছে। যেমন: দক্ষ করে তোলা, ঋণ সহযোগীতা, বিদেশে প্রেরন। কিন্তু তা সরকারের বাজেট অনুযায়ী নগন্য এবং লোক দেখানোর মতো। বাজেট অনুযায়ী আশানুরূপ সাফল্য অর্জিত হচ্ছে না।

ভৌগলিক অবস্থানের কারণে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষগুলো একটু বেশিই সহজ সরল যার কারণে উপরোক্ত সুযোগ সুবিধা পায় না এবং কি অনেকেই জানেই না। তাছাড়া এসব সেবা নিতে অফিস সিস্টেম অনেকই বুজেন না।তাই সেবাগুলোকে জটিল না করে, সহজ সরলভাবে সেবাগ্রহীতাকে সেবা দিয়ে যেতে হবে। দেশের সেবা করে, দেশপ্রেম নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

বেকারত্ব দূর করতে এমন সমস্যা ও সমাধানের পথ তু্লে ধরেছেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাসিন্দা তরুন লেখক ও সমাজ বিশ্লেষক গাজী ইব্রাহিম খলিল।

পত্রিকা একাত্তর/ তারেক মাহমুদ