চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন,এই ফ্যাসিবাদীর বিরুদ্ধে আমাদের জেগে উঠতে হবে। এই অবৈধ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এই সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। ভোট আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। ভোটার অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। এই সরকারের দুর্নীতি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে।
টাকা পাচারে বিরুদ্ধে, ব্যাংক লুট ও খুনীর বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছে। দেশের মানুষ আজ এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে অচিরেই এই স্বৈরচার সরকারের পতন হবে।চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু সহ ৩৯ জন নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিন।
তিনি আজ শুক্রবার (১২ মে ) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তির সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ,চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু,নগর যুবদলের সহ সভাপতি ফজলুল হক সুমন,নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান,নগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সেলিম খান,নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক জমিরউদ্দীন নাহিদ সহ কারান্তরিন নেতাকর্মীর মুক্তির দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাবেশে এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন , আওয়ামী সরকার ঐতিহ্যগতভাবে হিংসার চর্চা করে।প্রতি হিংসা পরায়ণ রাজনীতির কারণে আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে গৃহবন্দী করে রেখেছে।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। এরা আইনের শাসনকে হত্যা করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে এরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে।
সকল ষড়যন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে বীরের বেশে তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবে। এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য
নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। তারা আবারও এক দলীয়ভাবে থাকার দিবা স্বপ্ন দেখছে। যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীর আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জনগণ ঐক্যবদ্ধ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এ সরকার একটি দুর্নীতিবাজ সরকার।দুর্নীতির মাধ্যমে এই সরকার দেশ শাসন করছে।বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। সরকারের সময় শেষ হয়ে আসছে তাই তারা বিরোধীদল দমনে মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের জেলহাজতের প্রেরণ করছে।
অবিলম্বে চট্টগ্রাম মহানগরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, দ্রব্য মূল্যের দাম আকাশছোঁয়া। তীব্র গরমে বিদ্যুতের চরম সংকট। দেশে ভোটাধিকার নেই। নেই সাধারণ মানুষের কথা বলার অধিকার। আইসিটি আইন করে গণ মাধ্যম ও গণ মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। এই অবৈধ সরকারের কাছে দেশ এক মুহুর্তও নিরাপদ নয়। সব সমস্যার একটাই সমাধান। তা হলো অবৈধ সরকারের পতনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, রাতের আঁধারে ভোট করা সরকারের জনগণের প্রতি কোনো ভালোবাসা নেই। গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে সরকার জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে। অথচ নাগরিক সুবিধা প্রদানে তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই।
সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, এই অবৈধ সরকার দেশের মানুষের উপরে অত্যাচার নির্যাতন চালানোর জন্য এবং অধিকার হরণের জন্য রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগ যথা আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগ সর্বশেষ বিচার বিভাগকে এই সরকার দখল করে নিজেদের ইচ্ছামত বিরোধী মতের মানুষ সহ এ দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের উপরে অন্যায় অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে, তিনি অবিলম্বে কেন্দ্রীয় যুবদলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সভাপতি, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাহেদ, সহ সভাপতি ফজলুল হক সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম উদ্দিন খানসহ সকল নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি জানান।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, মামলা-হামলা,নির্যাতন-নিপীড়ন, গ্রেফতার করে এই সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। এই মাফিয়া সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে। প্রশাসন কে ব্যাবহার করে আবার যে ভোটারবিহীন নির্বাচনের পাঁয়তারা চলছে, নেতাকর্মীরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে তা প্রতিরোধ এবং প্রতিহত করবে। তাই আগামী দিনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের কঠিন আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান এর সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম সাইফুল আলম, সদস্য আনোয়ার হোসেন লিপু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য সাইফর রহমান শপথ, নগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, সহ সভাপতি নুর আহমেদ গুড্ডু, শাহেদ আকবর, এম এ রাজ্জাক, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, শহীদুল্লাহ বাহার, খাইরুল আলম দীপু, আবদুল গফুর বাবুল, মোঃ মুসা, মিয়া মোঃ হারুন, হায়দার আলী চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, এড. সাইদুল ইসলাম, হারুন আল রশিদ, মজিবুর রহমান, মাঈনউদ্দিন রাশেদ, হারুনর রশীদ, জিয়াউর রহমান জিয়া, নাছির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, মজিবুর রহমান, অরূপ বড়ুয়া, নগর ছাত্রদলের সদস সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, মোঃ আলী সাকি, জাহিদ হাসান বাবু, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ইকবাল পারভেজ, রাশেদুল হাসান লেবু, এরশাদ হোসেন, তাজুল ইসলাম তাজু, আবদুল হামিদ পিন্টু, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, জিয়াউল হুদা শাহরিয়ার জিয়া, এমদাদুল হক বাদশা, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফুর রহমান, সাব্বির আহমেদ, খন্দকার রাজিবুল হক বাপ্পি, নুর নবী মহররম,হেলাল হোসেন, গুলজার হোসেন, আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার, নুর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মুহাম্মাদ সাগির, আনোয়ার হোসেন এরশাদ, আকতার হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, দিদার হোসেন, আবদুল মান্নান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
পত্রিকা একাত্তর/ ইসমাইল ইমন
আপনার মতামত লিখুন :