একজন আলোকিত মানুষ শিশির আসাদ


নিজস্ব প্রতিনিধি প্রকাশের সময় : ৩১/১০/২০২২, ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ / ৬১৭
একজন আলোকিত মানুষ শিশির আসাদ

আদিকাল থেকেই চলে আসছে সাদা আর কালোর পার্থক্য । জীবনের প্রতিটি কর্মকান্ডে মানুষের সাদা-কালো মনের পরিচয় সহজেই মেলে। ভালো কাজ যেমন মানুষকে আনন্দ দেয় তেমনি মন্দ কাজ করে ব্যাথিত। বর্তমান এ সভ্য সমাজে কালো মানুষের সংখ্যা যেন বেড়েই চলছে! সমাজের প্রতিটি শাখায় কালো মানুষগুলোর জয়জয়কার ! পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সবখানেই তাদের কর্তৃত্ব !

কালো মানুষ নামের এ দানবগুলোর হিংস্র থাবায় সমাজের সাদা নরম হৃদয়ের মানুষেরা আজ নিষ্পেষিত। আমাদের এ সমাজে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক সাদামনের আলোকিত মানুষ। তাদের কর্মের মাঝে তারা যেমন নিজেদের করেছেন আলোকিত তেমনি তাদের ছোয়ায় অন্যরা খুঁজে পেয়েছেন আলোর পথ।

তেমনি হিমালয় কন্যা খ্যাত দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের সুজলা সুফলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চারণভূমিতে জন্মেছেন বহু প্রতিভাবান, মানবদরদী ও আলোকিত মানুষ। যারা তাদের মেধা দিয়ে কর্ম দিয়ে এই সমাজ ও সমাজের মানুষগুলোকে করেছেন আলোকিত । তেমনি এক আলোকিত মানুষ পঞ্চগড় জেলাট গর্ব উদ্দোক্তা,লেখক,কলামিস্ট, শিক্ষক ও সাদা মনের মানুষ শিশির আসাদ । চিরযৌবনা অপরূপ প্রকৃতির বিস্ময় পঞ্চগড়ের সুযোগ্য সন্তান শিশির আসাদ। সদ্য স্নাতকোত্তর করা শিশির আসাদ পেশায় একজন লেখক ও কৃষক ।

১৯৯৮ সালের ১৫ ই আগষ্ট পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের তাসেরপাড়া এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা আলহাজ্ব মাওলানা নুরুল ইসলাম , রত্নগর্ভা মাতা মোছা. জান্নাতুল ফেরদৌস। একজন উদ্দোক্তা, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষক হিসেবে তিনি সফল মানুষ। বহুমাত্রিক জ্ঞানভান্ডারে সমৃদ্ধ একজন আলোকিত ব্যক্তিত্ব।

ছোট্ট কর্মপরিধি সমৃদ্ধ একজন মানুষকে কোন বিশেষ বিশেষণে সীমাবদ্ধ করা অসম্ভব। মানুষকে সম্মান জানানোর মতো উদারতাসহ একটা বড় মাপের হৃদয়ের অধিকারী জনাব শিশির আসাদ । দেশব্যাপি শিক্ষা সহায়তার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান বিস্ময়কর। তিনি প্রথম দেশে শিক্ষার্থীদের অনলাইন কেন্দ্রিক সহযোগিতার দ্বার উন্মোচিত করেন। যে সময়ে দেশের কোন যুবকের মাথায় শিক্ষার্থীদের ফ্রি সহযোগিতার চিন্তা আসেনি বা এটা যে সম্ভব এই বিশ্বাসও ছিল না।

ঠিক তখন এই দূরদর্শী যুবক সুদূর প্রসারী চিন্তা করে ঢাকা থেকে বিভিন্ন বড় বড় গ্রুপ পেজ সহ বিভিন্ন দৈনিকে লেখার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু নানা প্রতিকূলতার কারণে পরিপুর্ন সহযোগিতা করতে না পারলেও হাল ছেড়ে দেননি। তার সুদুর প্রসারী চিন্তা আজ সর্বজন স্বীকৃত। সারা বাংলাদেশে লিজেন্ড হিসেবে সকল শিক্ষার্থী তাকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করে।

অন্তরে, মননে, আপাদমস্তকে তিনি একজন সমাজ সেবী। যেখানে সেবার প্রয়োজন সেখানেই তিনি আছেন। অর্থ খ্যাতি যশের পেছনে কখনো তিনি ছুটেননি। নিজের ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের পেছনে না ছুটে সমাজ ও মানুষের কল্যাণের জন্য নিরন্তর ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি।জীবনভর নির্মোহ, সদলাপি, বিনয়ী এ মানুষটি মানব কল্যাণের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন।

শিক্ষার্থীদের জন্য সাধারণ জ্ঞানের বই জিকে মাস্টার তার লেখা৷ আমি ব্যক্তিগতভাবে এই মানুষটাকে সমাজের একজন আলোকিত মানুষ হিসেবে মনে করি। আপনি দীর্ঘজীবী হোন, মানুষের ভালবাসা নিয়ে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকুন হাজার বছর। আপনার প্রতিটি দিন সুন্দর হোক । একজন বাংলাদেশী ও প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাবির শিক্ষার্থী হিসেবে আমি আপনার জন্য আমি গৌরব বোধ করি।

পত্রিকা একাত্তর / সাদিয়া রাহমান