নীলফামারী জেলার কৃতি সন্তান আম্বিয়া বেগম জনতা ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। জনতা ব্যাংকের ৭১১ তম বোর্ড সভায় তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। পদোন্নতি পেয়ে তিনি ঢাকা উত্তরের ডিভিশনাল অফিসে যোগদান করবেন।
আম্বিয়া বেগম নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আফাজ উদ্দিন আহমেদ এবং মাতার নাম সুলতানা বেগম। বাবা ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। যিনি নীলফামারী জেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে দুইবার স্বর্ণ পদক পেয়েছেন।
বাবা-মায়ের ৮ সন্তানের ৬ষ্ঠ আম্বিয়া বেগম স্কুলজীবন থেকে ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে ১৯৮২ সালে নীলফামারী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে ম্যাট্রিকুলেশন ও ১৯৮৪ সালে নীলফামারী সরকারী মহিলা কলেজ থেকে কমার্স বিভাগ থেকে ইন্টারমিডিয়েটে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে প্রথম শ্রেণীতে ৮ম স্থান অধিকার করেন।
তিনি ১৯৮৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগে ভর্তি হয়ে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক পাশ করেন। অনার্সে সেকেন্ড ক্লাস ফোর্থ এবং মাস্টার্সে সেকেন্ড ক্লাস থার্ড হন তিনি।
শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৯৩ সালে আম্বিয়া বেগম জনতা ব্যাংকের মতিঝিল কর্পোরেট শাখায় সিনিয়র অফিসার পদে যোগদান করে কর্মজীবন শুরু করেন। মহাব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি পাওয়ার আগে তিনি জনতা ব্যাংকেরই ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এছাড়া ব্যক্তিগত জীবনে তিনি নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের মটুকপুর দরবেশবাড়ীর মফিজুল ইসলাম মিঠুকে বিবাহ করেন। তার স্বামী মফিজুল ইসলাম মিঠু বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
তার দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ও ছোট ছেলে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। এছাড়া আম্বিয়া বেগমের সকল ভাই-বোন সরকারী চাকুরীজীবি।
জনতা ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত আম্বিয়া বেগমকে বিভিন্ন মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নীলফামারী ও ডোমারের সাধারণ মানুষ। তার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত এবং আনন্দিত এলাকাবাসী।
পত্রিকা একাত্তর/রিশাদ