জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল "বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে" প্রথমবারের মতো উঠতে যাচ্ছে ছাত্রীরা। হলে আসন পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। হলের জন্য বরাদ্দকৃত মোট সিট সংখ্যা ১২০০।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তালিকাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশের পরপরই সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভের প্রকাশ। হলের সিট বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তিতে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করে হলে সিট দেওয়ার কথা সেগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী কেয়া সরকার বলেন- আমি যতদূর শুনেছিলাম রেজাল্টের ভিত্তিতে, বাসা যাদের দূরে এরকম কিছু শর্ত পূরন হলে সিট পাওয়া যাবে। আমি ডিপার্টমেন্ট ফার্স্ট, আমার বাসা বরিশাল। আমি তাহলে কেন সিট পেলাম না? ঢাকাতে আমার কেউ পরিচিত ছিল না। হলের আবেদনের সময় যখন স্থানীয় অভিভাবকের ঠিকানা চেয়েছে কত কষ্ট করে যে একজন দূর সম্পর্কের আত্মীয় খুঁজে বের করেছিলাম সেটা এক ইতিহাস।
আমি যে মেসে রয়েছি আগামী মাসে তা ছেড়ে দিতে হবে, আমি আশাবাদী ছিলাম আমার তো রেজাল্ট এত ভালো, বাসা দূরে আমিতো হলে সিট পাবোই, তাই আর বাসা নেওয়া হয়নি। এখন কোথায় থাকবো ?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, আমার অনেক বান্ধবী ঢাকার স্থানীয় হওয়ার পরে ও তাদের নাম সিট বরাদ্দের তালিকায় রয়েছে। এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। মেধাবী শিক্ষার্থী ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে হলের সিট বরাদ্দে কিন্তু দেখা দিয়েছে তার বিপরীত দিক।
কেউ কেউ অভিযোগ করছেন - বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না বলে হলের সিট পাওয়া হলো না।
পত্রিকা একাত্তর/ অশ্রু মল্লিক