কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে সাংবাদিক মোঃ রবিউল ইসলাম কে ই-প্রেস ক্লাব কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার উদ্যোক্তা ও আহবায়ক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সাংবাদিকদের পাশে থেকে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে ই-প্রেস ক্লাবের যাত্রা শুরু। প্রাথমিকভাবে সদস্য সংগ্রহের কাজ চলছে। ই-প্রেস ক্লাবে ইতিমধ্যেই সদস্য হয়েছেন টিভি সহ বিভিন্ন পত্রিকার সারাদেশের প্রায় হাজার খানেক নামিদামী গণমাধ্যমকর্মী। এই কাজের উদ্যোগ নিয়েছেন সৈয়দ ফজলুল কবীর। তিনিই ই-প্রেস ক্লাবের উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা।
তথ্য প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির ফলে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাথে মোবাইল বা সেল ফোন, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটকেও অনেক সময় নতুন-যুগের গণমাধ্যম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ইন্টারনেট স্বীয় ক্ষমতাবলে ইতোমধ্যেই অন্যতম গণমাধ্যম হিসেবে ব্যাপক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এর মাধ্যমে অনেক প্রকার সেবা-বিশেষ করে ই-মেইল, ওয়েব সাইট, ব্লগিং, ইন্টারনেট এবং টেলিভিশনের প্রচারকাজ পরিচালনা করছে।
দেশের জনগণের একটি বিশাল অংশ আজ এ পেশার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত। আর এই পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রথম কাজ সত্যনিষ্ঠ, বস্তুনিষ্ঠ এবং তথ্যনির্ভর সংবাদ পরিবেশন নিশ্চিত করা। দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে সাংবাদিকদের নিজের পরিবার রয়েছে, তাঁদের জীবনজীবিকা ও স্বার্থগুলো নিশ্চিত করা এবং তৃতীয় কাজ হচ্ছে প্রতিষ্ঠান বা সংবাদ পত্রের সুবিধা-অসুবিধা দেখা।
উপরোল্লেখিত কাজগুলো যাতে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকেরা করতে পারেন সেজন্য সারাদেশে গড়ে উঠে প্রেস ক্লাব, বিভিন্ন সাংবাদিক ইউনিয়ন। তেমনি- বিজ্ঞানভিত্তিক ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর সাংবাদিকতা, সকল প্রকার অনলাইন সেবা নিয়ে গঠন করা হয়েছে ই-প্রেসক্লাব।
হলুদ সাংবাদিকতা বন্ধ করতে হলে সাংবাদিকদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজন। সাংবাদিকদের অর্থনৈতিক অবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে। দুর্বল অর্থনীতি সাংবাদিকদের হয়রানির অন্যতম কারণ। সাংবাদিকদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলে অর্থনৈতিক অবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে। আর সাংবাদিকদের অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী হলে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা সম্ভব হবে।
ই- প্রেস ক্লাবের মাধ্যমে সাংবাদিকরা আইনী সহায়তা, বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা , শিল্পায়নের মাধ্যমে সাংবাদিকদের আর্থিক উন্নয়ন, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে বিজ্ঞানসম্মত ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠান তাদের যাত্রা শুরু করেছে।
এছাড়া সারাদেশে রক্তদান, বাল্যবিবাহ, যৌতুক, শিশু নির্যাতনসহ সামাজিক সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনায় বদ্ধ পরিকর থাকবে ই-প্রেস ক্লাব। আর তাই সর্বপ্রথম (ই-প্রেস ক্লাব ) -ই আবিষ্কার করলো বিশ্বব্যপি সাংবাদিকদের জন্য একটি সর্ব বৃহত্তম প্লাটফর্ম।
যেখানে প্রথমেই থাকবে সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগত যোগাযোগ, বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষন, সাংবাদিকদের অধিকার আদায়, অবহেলিত সাংবাদিকের মান উন্নয়ন, প্রেসক্লাবে সদস্য হওয়ার নামে দুর্নীতি প্রতিরোধ করবে, সাংবাদিকদের উপর হামলা হলে প্রতিরোধ হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি আরো প্রযুক্তিগত বিশেষ ভূমিকা রাখবে ই-প্রেস ক্লাব।
- ই-প্রেস ক্লাবের মাধ্যমে সাংবাদিকরা সকল ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে।
- ই-প্রেস ক্লাব দেশের কোনো সংগঠনের বিরোধিতা করে না।
- ই-প্রেস ক্লাব আধুনিকতায় বিশ্বাসী।
- ই-প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সকল ইচ্ছা ও প্রত্যাশা পূরণ হবে।
শিল্প খাতে সাংবাদিকরা অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করবে। ই-প্রেস ক্লাবের মাধ্যমে সাংবাদিকরা ব্যবসায়িক শিল্পে প্রবেশ করে নিজেদের অবস্থান তৈরি করবে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ই-প্রেস ক্লাব একে একে সকল কার্যক্রম চালু করবে।
প্রথম পর্যায়ে সাংবাদিকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে সাংবাদিকদের সাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হেল্থ কেয়ার স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাংবাদিকদের ব্যবসায়িক শিল্প গড়ে তুলতে ই-প্রেস ক্লাব কার্যক্রম শুরু করেছে। ই-প্রেস ক্লাব সকল ক্ষেত্রে অনুমোদন সাপেক্ষে সরকারী আইন অনুযায়ী সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
যুগোপযোগী এমন মহা পরিকল্পনার রুপকার সৈয়দ ফজলুল কবীর স্যারের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি সেই সাথে সারা দেশের অবহেলিত গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি- আসুন এই দেশ কে সুন্দর করে গড়ে তুলতে বিজ্ঞানভিত্তিক ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর সাংবাদিকতায় সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।
–গণমাধ্যমকর্মী,
সাংবাদিক মোঃ রবিউল ইসলাম,
উদ্যোক্তা ও আহ্বায়ক, ই-প্রেস ক্লাব,
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা, কিশোরগঞ্জ জেলা
পত্রিকা একাত্তর /মিলন গোলদার