কাঠলিচু চাষ করে সফল হয়েছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের চাষি আশরাফ মোল্লা। শখের বশে ২ বিঘা জমিতে কাঠলিচুর বাগান করে বছরে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা আয় তার। আশানুরূপ ফলন ও দাম পাওয়ায় কাঠলিচু চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক চাষিরা।
জানা যায়, আশরাফ মোল্লা শখের বশে ২ বিঘা জমিতে কাঠলিচুর বাগান করেছিলেন। চলতি মৌসুমে এপ্রিল মাসের দিকে প্রতিটি গাছে ফল এসেছে। এছাড়া বর্তমানে প্রতি কেজি কাঠলিচু পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। একটি গাছ থেকে ২ থেকে ৩ মণ কাঠলিচু সংগ্রহ করা যাচ্ছে।
বাগান মালিক আশরাফ মোল্লা পত্রিকা একাত্তরকে বলেন, ফরিদপুরে থেকে চারা সংগ্রহ করে ২ বিঘা জমিতে কাঠলিচুর বাগান করি। আবহাওয়া ও মাটির উর্বরতা ভেদে ভালো ফলন পেয়েছি। চলতি মৌসুমে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার কাঠলিচু বিক্রি করেছি।
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন পত্রিকা একাত্তরকে বলেন, কাঠলিচুর আর একটি নাম "আঁশ ফল"। অঞ্চল ভেদে পৃথক নামে পরিচিত কাঠলিচু বা আশঁফল। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ফল। মেহেরপুরে তেমন কাঠলিচুর বাগান নেই। তবে এরই মধ্যে আশরাফ মোল্লা তার জমিতে একটি বাগান করেছেন।
এপ্রিল মাসের প্রথম থেকে কাঠলিচু পরিপক্ব হয় জুন-জুলাই মাসে। বাজারেও এর চাহিদা রয়েছে। দামও ভালো। কাঠলিচুর বাগানে কৃষকরা লাভবান হবে। এক্ষেত্রে বাগান করতে আগ্রহীদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা হবে।