বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) একাউন্টিং এ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার (৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কামারের মোড়ের ( চকবাজার) আজিজুল হক ছাত্রীনিবাসে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম শাহনাজ আক্তার (মুন্নি)।
সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার দক্ষিণ ঘাগোয়ায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা ৩টা থেকে শাহনাজের রুমের দরজা বন্ধ ছিলো। শুরুতে তারা ভেবেছিলো সে হয়তো ঘুমাচ্ছে। পরে দীর্ঘক্ষণ দরজা বন্ধ থাকায় তাকে তার মেসের বান্ধবীরা রাত সাড়ে ৮টায় দরজায় নক করলেও সে কোনও সাড়া দেয় না। ব্যাপারটি সন্দেহজনক মনে হলে তারা জানালা দিয়ে দেখার চেষ্টা করলে সিলিং ফ্যানে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পায়।
এসময় শাহনাজকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে সেখানেই দুজন অচেতন হয়ে যায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও বিভাগটির বিভাগীয় প্রধানের উপস্থিতিতে পুলিশ এসে ওই শিক্ষার্থীর লাশ নামায়। ডেইলি বাংলাদেশকে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) ইজার আলী বলেন, ঘটনার সংবাদ পাওয়া মাত্রই সঙ্গীয় অফিসার সহ ঘটনাস্থলে যাই। যাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, মেস মালিক সমিতির সভাপতি ও অন্যানাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙ্গে শাহনাজের ঝুলন্ত লাশ নামানো হয়।
ওই শিক্ষার্থীর মা-বাবাকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসলে বাকি ফরমালিটি সম্পন্ন করা হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে এমন খবরের সত্যতা পেয়ে তৎক্ষণাৎ প্রক্টরিয়াল বডিসহ আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে লাশ নামায়।
সব ফরমালিটি পূরণের জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) ইজার আলী বলেন, ঘটনার সংবাদ পাওয়া মাত্রই সঙ্গীয় অফিসার সহ ঘটনাস্থলে যাই। যাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, মেস মালিক সমিতির সভাপতি ও অন্যানাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙ্গে শাহনাজের ঝুলন্ত লাশ নামানো হয়। ওই শিক্ষার্থীর মা-বাবাকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসলে বাকি ফরমালিটি সম্পন্ন করা হবে।
পত্রিকা একাত্তর /ফারহান সাদিক সাজু