ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক, পৌরসভার প্যানেল মেয়র (২) ও ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদ হোসেনের মাঝে দেখি মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা,ভালোবাসা এবং বিশ্বাস অর্জনের জন্য একটা নেতার অসাধারণ এক আল্লাহ প্রদত্ত শক্তি। নেতার কথা,কণ্ঠস্বর,বাচনভঙ্গি মুখচ্ছবিতে এমন এক মহাজাগতিক সৌন্দর্য সন্নিবেশিত থাকে যে,মানুষ মুগ্ধ হয়ে তার পানে ধেয়ে যেতে থাকে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজনীতির মাঠে নামা একজন নেতার যে মানবিক গুণাবলি, সমকালীন অন্যান্য মানুষ থেকে শ্রেষ্ঠতর,তিনি পরোপকারী এবং সব মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন।রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী থাকা সত্বেও তিনি কাউকে শত্রু মনে করেন না।

তিনি অসৎ মানুষ কে কঠোর হাতে দমন,এবং ভালো মানুষ কে বুকে আগলে রেখে লালন করে থাকেন। তিনি সর্বদাই নিজেকে একজন ন্যায় বিচারক হিসাবে দেখতে চাই । ন্যায় বিচারের স্বার্থে তিনি অপরাধীকে শাস্তি দিতেও কুন্ঠাবোধ করে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেমন অন্যায়ের সাথে আপোষ করেন না -অপরাধী- সে যে দলের হোক, ঠিক তেমনি একজন রাজনৈতিক নেতা মোঃ জাহিদ হোসেন। তিনি মানুষকে ভালোবাসার জন্য এবং ক্ষমা করার জন্য সর্বদা উছিলা খুজতে থাকেন, কিভাবে ভালো মানুষদের রক্ষা করা যাই এবং ভালোবাসা পাওয়া যাই।একজন

নেতা হিসাবে তিনি অহঙ্কার করেন না, সত্য, সুন্দর এবং সাধারণত্বই তার বৈশিষ্ট্য।নেতার প্রফুল্লতা সবসময়ই প্রকাশ হয়ে থাকে, যা তার অনুসারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সমান তালে।নেতা না চাইলেও মানুষ সবসময় তাকে নেতৃত্বের আসনে বসিয়ে রাখেন। নেতার বিদ্যাজ্ঞান,ভিন্নমাত্রার চিন্তাশক্তি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করার অসাধারণ ক্ষমতা তাকে সবার মধ্যে সর্বোচ্চ আসনে বসিয়ে রাখে।

সহনশীলতা,সততা,ধৈর্যশীলতা এবং কৃতজ্ঞতা নেতার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এবং জাহিদ হোসেন এমন একজন নেতা পরাজয়ের দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন এবং বিজয়ের আনন্দ ভাগ করে দেন সবার মাঝে। নেতা হিসাবে তাহার একটা বড় গুন হলো যে কোন অনুষ্ঠানে আগে নেতাকর্মী ও অতিথি আপ্যয়ন বেশী পছন্দ করেন এবং নিজ হাতে সকলকে খাওয়াতে পছন্দ করেন। তিনি উপহার গ্রহণের চাইতে উপহার প্রদানকেই শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচনা করেন। তিনি নিয়মিত প্রতিদিন সকালে উঠে ইবাদত বন্দেগী সেরে , মানুষের আত্মার সাথে নিজেকে মিশিয়ে নেন।

নিয়মিত এলাকাবাসীর খোঁজ খবর নিয়ে থাকেন তিনি। পাশাপাশি নিজের বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখেন। তিনি পাথরের বুকে কোনো কিছু খোদাই করার পরিবর্তে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেয়ার জন্য আমৃত্যু চেষ্টা করে যাবেন বলে জানা যায়পৌরবাসীর মুখে মুখে, যে একজন নেতার দেখা পেয়েছি। যিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন।

তার রাজনৈতিক জীবনবৃত্তান্তে জানা যায়, ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সুনামের সাথে কোটচাঁদপুর পৌর ছাত্রলীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক পদে দ্বায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সুনামের সাথে কোটচাঁদপুর পৌর যুবলীগের সম্মেলন প্রস্ততি কমিটির আহবায়ক হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন।পরবর্তীতে দুই মেয়াদে কোটচাঁদপুর পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে দলীয় নেতৃবৃন্দদের মন জয় করে কোটচাঁদপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

জনপ্রতিনিধি হিসাবে গত ২০২১ সালের ৩০শে জানুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনে পৌর ৩নং ওয়ার্ডবাসীর ভালবাসা সরুপ তাদের ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে পৌরসভার প্যানেল মেয়র (২) ও ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

সামাজিক দ্বায়িত্ব হিসাবে তিনি, কোটচাঁদপুর মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ভোটে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে কোটচাঁদপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও সহসভাপতি হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি কোটচাঁদপুর ইসলামীয়া ক্বওমীয়া ক্বিরাতুল কোরআন মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সহসভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেন, এবং পুনরায় ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

কোটচাঁদপুর পৌর দলীয় নেতৃবৃন্দের দাবি একজন সৎ ও আদর্শবান ব্যক্তি হিসাবে আসছে আগামী পৌর আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে কাউন্সিলর জাহিদ হোসেনকে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে পেতে চাই। পাশাপাশি প্রিয় নেতা জাহিদ হোসেনের জন্য কোটচাঁদপুর পৌরবাসী দোয়া ও শুভ কামনা করেন।