নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত মো. শাওনের গায়েবানা জানাজায় অংশ নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ দিয়ে গুলিবর্ষণ করে এই ফ্যাসিবাদী সরকার জানান দিয়েছে, তারা নির্যাতন করে আন্দোলন দমন করতে চায়। তিনি বলেন, ভোলায় আবদুর রহিম, নুরে আলম ও নারায়ণগঞ্জে শাওনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, এ দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদী সরকারের দমন নিপীড়নকে ভয় করে না। রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে হলেও তারা এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবে।

শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বাদে জুমা কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে শাওনের গায়েবানা জানাজায় তিনি এসব কথা বলেন। গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন মহানগর ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা শহীদুল্লাহ চিশতী।

এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে আমার ভাইয়ের রক্ত ঝরেছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ গুলিবর্ষণ করেছে। আমরা শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারি না। তাদের এই আত্মত্যাগকে ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে আরও বেগবান হয়ে এ সরকারকে পরাজিত করতে হবে। এতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা, আবারো বিনা ভোটে সরকার গঠন করা এবং জনগণের ন্যায্য দাবিগুলো পদদলিত করার লক্ষেই নারায়ণগঞ্জে সমাবেশে হামলা করা হয়েছে।

ভোলা ও নারায়ণগঞ্জের হত্যার ঘটনা সরকারের ধারাবাহিক অমানবিক নিপীড়ন নির্যাতনেরই বর্ধিত প্রকাশ। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি'র আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংসহ জনদুর্ভোগের বিষয় এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শোভাযাত্রায় পুলিশ গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। এটা একটা বড় ধরনের ঘটনা। এরসঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। জনসাধারণকে এরকম হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, প্রতিবাদ জানানোর আহবান জানাচ্ছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি'র আহবায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দার মির্জা, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, নূর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জি. বেলায়েত হোসেন, কাজী সালাউদ্দিন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, জসিম উদ্দিন শিকদার, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল চৌধুরী

অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, আবু আহমেদ হাসনাত, জাকের হোসেন, আবু জাফর চৌধুরী, আহসানুল কবির তালুকদার রিপন, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান মো. জসিম, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপি নেতা মাহবুবুল হক, এম আই চৌধুরী মামুন, জসিম উদ্দিন জিয়া, একেএম পেয়ারু, ইদ্রিস আলী, আজাদ বাঙ্গালি, আবু মুছা, আরিফ মেহেদী, মহানগর তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, উত্তর জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক শফিউল আলম চৌধূরী, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস এম মফিজ উল্লাহ, খাজা আলাউদ্দিন, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ, হাসান ওসমান চৌধুরী, হাজী মো. জাহেদ, মো. হাসান, যুবদলের সহ সভাপতি এম এ রাজ্জাক, সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সি. যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সামিয়াত আমিন জিসান, আরিফুল

পত্রিকা একাত্তর /ইসমাইল ইমন