মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী রাজাকারের কবরে শ্রদ্ধা ও জেয়ারত


নিজস্ব প্রতিনিধি প্রকাশের সময় : ১৪/১০/২০২২, ১১:০৩ অপরাহ্ণ / ১৮৫
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী রাজাকারের কবরে শ্রদ্ধা ও জেয়ারত

গত ১১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আ,ক,ম, মোজাম্মেল হক রাউজান উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসে এদিন সকালে আকষ্মিকভাবে ‘৭১ এর মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত অপরাধী সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাড়ীতে গিয়ে তার ঘনিষ্ট সহচর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বাবা চট্টগ্রামের কুখ্যাত তালিকাভূক্ত রাজাকার একেএম ফজলুল কবির চৌধুরীর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও জেয়ারত করেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর রাজাকারের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও জেয়ারতের সচিত্র ছবি সম্বলিত নিউজ স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে ফলাওভাবে প্রচার করা হয়। সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী কর্তৃক রাজাকারের কবর জেয়ারতের ঘটনায় দেশবাসী বিষ্মিত হয়েছে। এ নিয়ে রাউজানসহ সারা দেশের দেশপ্রেমিক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মার প্রতি অস্মান দেখানো হয়েছে। দেশের

সচেতন মহল মনে করছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর বাড়ীর কবরস্থানে গিয়ে তার আপন চাচা চিহ্নিত ও তালিকাভূক্ত রাজাকারের কবরে শ্রদ্ধা ও জেয়ারত করে দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে চরম আঘাত হেনেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময়ের নামে আওয়ামীলীগ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে

রাউজানে এনে ফজলে করিম চৌধুরী সুকৌশলে তার রাজাকার বাবার কবর জেয়ারত করিয়ে রাজাকারের তালিকা থেকে তার বাবার নাম বাদ দেওয়ার পায়তারা করছে। এভাবেতো রাজাকারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায়

না। যেমনি শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন চট্টগ্রামের শতশত মুক্তিযোদ্ধা জীবিত থাকতে তা হতে দেবে না। তার বাবার নাম রাজাকারের তালিকাভূক্ত। যা জাতীয় ও চট্টগ্রামের স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় ফলাওভাবে প্রচার হয়। চট্টগ্রামের কুখ্যাত রাজাকার একেএম ফজলুল কবির চৌধুরী ও মানবতা বিরোধী অপরাধে দন্ডিত সালাহ

উদ্দিন কাদের চৌধুরীর বংশধরেরা রাজাকারের তালিকা পরিবর্তনের সুযোগ নেওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে দিয়ে রাজাকার একেএম ফজলুল কবির চৌধুরীর কবর জেয়ারত করানো হয়। যা পত্রপত্রিকায় জেয়ারতের ছবি প্রচার করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন বাংলাদেশের স্থপতি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল সবুজের এ দেশে রাজাকার ও তাদের বংশধরদের ঠাঁই হবে না যতদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকেন।

তারপরও সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মান্ত্রীকে দিয়ে রাজাকারের কবর জেয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদনের এ দৃশ্য না জানি রাজাকারদের কোন ষড়যন্ত্রের অংশ তা ভাবার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি বীর মুক্তিযোদ্ধারা আহ্বান জানান।

পত্রিকা একাত্তর