বরগুনার আমতলীতে প্রবাসী প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসা সেই কলেজছাত্রীকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে পুলিশ তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক মো. ইমরান হাসান ইপ্তি জামিন মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, আমতলী পৌর শহরের একে স্কুল সড়কের একটি কলেজের এমএ শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম আমতলী গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মহিউদ্দিন বিশ্বাসের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ১৬ বছর আগে শুরু হওয়া এই সম্পর্কের সূত্র ধরে উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠতাও তৈরি হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
২০১৭ সালে মহিউদ্দিন কুয়েত চলে যান। এরপর একাধিকবার মেয়ের পরিবার বিয়ের প্রস্তাব দিলেও মহিউদ্দিন তা নাকচ করে দেন। সর্বশেষ, ৮ বছর পর গত ৪ মার্চ দেশে ফেরার পর দুজনের মধ্যে আবারো যোগাযোগ হয়। তবে গত শুক্রবার (৩ মে) হঠাৎ করেই মহিউদ্দিন জানিয়ে দেন তিনি আর বিয়ে করতে চান না।
এরপরই ক্ষোভে এবং প্রতিকার চেয়ে ওই ছাত্রী রাত ৯টার দিকে মহিউদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে অনশনে বসেন। শনিবার রাতে তার মা আশ্বাস দিয়ে মেয়েটিকে ঘরে তোলেন। কিন্তু রোববার মহিউদ্দিনের বড় ভাই আল-আমিন বিশ্বাস আদালতে আত্মহত্যার হুমকির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ মেয়েটিকে মহিউদ্দিনের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
তবে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে তোলা হলে বিচারক শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নুহু-উল-আলম নবীন বলেন, “আদালত বিষয়টি বিবেচনা করে জামিন মঞ্জুর করেছেন।”
মামলার আসামি ছাত্রী বলেন, “যে আমার জীবনের ১৬ বছর নষ্ট করেছে, তাকে আমি এত সহজে ছেড়ে দেবো না। আইনের মাধ্যমেই মোকাবিলা করব।”
প্রেমিক মহিউদ্দিন বিশ্বাস এরইমধ্যে কুয়েত ফিরে গেছেন বলে দাবি করেছেন তার স্বজনেরা।
থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, “আদালতের নির্দেশ মোতাবেক তাকে গ্রেপ্তার করে সোপর্দ করা হয়েছিল।”