মাদরাসায় ছাত্রী ভর্তি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৪

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

১২ মে, ২০২৫, ৫ ঘন্টা আগে

মাদরাসায় ছাত্রী ভর্তি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৪

জামালপুরের ইসলামপুর মহিলা মাদরাসায় ছাত্রী ভর্তি করানোর বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই মাদরাসার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে ১৪ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১১ মে) দুপুরে উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, সংঘর্ষের ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে।

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে শেরপুর হাসপাতালে, ৬ জনকে জামালপুর হাসপাতালে ও ১ জনকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, এছাড়া আরও প্রায় ১১ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে কড়ইতলা মন্ডলবাড়ীর ইসরাফিল মন্ডলের ছেলে কালাচান মন্ডল (৫০), শামছুল মন্ডললের ছেলে আশরাফ আলী (৫৫), শাহাদত হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম (২০), দানেশ মন্ডলের ছেলে মুকুল মন্ডল (২৬), হাবু মন্ডলের ছেলে আলম মন্ডল (৫৫), আশরাফ মন্ডলের ছেলে হারুন মন্ডল (২৬) এবং আলম মন্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৬) শেরপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই এলাকার রফিকুল মন্ডলের ছেলে রিফাত মন্ডল (২২) গুরুতর আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

শেখবাড়ীর আহতদের মধ্যে রয়েছে- শাজাহান শেখের ছেলে মো. রমজান শেখ (২৮), মৃত জুল হাবেসের ছেলে জয়নাল আবেদিন (৫৫), মৃত আব্দুল রফিকের ছেলে রাজু শেখ (৪৭), আব্দুল খালেকের ছেলে মো. রাফাছ শেখ (৪০), মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে জিন্নত শেখ (৫০) এবং কছম উদ্দিনের ছেলে মো. রিয়াজল হক (৬০)। তাদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শুক্রবার রাতে কড়ইতলা এলাকার সুলতান হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক মো. উবাইদুল হক পার্শ্ববর্তী রাবেয়া বসরী মহিলা মাদরাসার একজন ছাত্রীকে তাদের মাদরাসায় ভর্তি করানোর জন্য ছাত্রীর বাড়িতে যান এবং অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় রাবেয়া বসরী মহিলা মাদরাসার শিক্ষক মো. মফিজুর রহমান ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। মীমাংসার জন্য রোববার সকালে কড়ইতলা এলাকায় বৈঠক বসানো হয়, কিন্তু বৈঠকের একপর্যায়ে দুই শিক্ষকের অনুসারী মন্ডলবাড়ী ও শেখবাড়ীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে প্রায় ২৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে ইসলামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত রিয়াজুল হক বলেন, "সকালে দুই পক্ষ মীমাংসার জন্য বসছিল। হঠাৎ করে তারা উত্তেজিত হয়ে মারামারি শুরু করে। আমি যখন সরে যাচ্ছিলাম, তখন আমাকে মাথায় আঘাত করা হয়। পরবর্তীতে কি হয়েছে তা বলতে পারছি না।"

ইসলামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ ঢাকা পোস্টকে জানান, মহিলা মাদরাসায় ছাত্রী ভর্তি করানোর বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। বেশ কিছু মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news