সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ৫নং কৈখালী ইউনিয়নের পূর্ব কৈখালী ও পশ্চিম কৈখালী ১ নং- ৩ নং ওয়ার্ডের সিমান্ত রাস্তাটি বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাটির রাস্তাটি পুকুরে গিলে খাচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষের চলাচল। অথচ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পুকুরের আগ্রাসনে হারিয়ে যেতে বসেছে। এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে জনগণকে ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ রাস্তাটি পূর্ব কৈখালী ও পশ্চিম কৈখালী গ্রামের ১ নং ও ৩ নং ওয়ার্ডের মাঝখান দিয়ে যাওয়ার মাটির কাঁচা রাস্তাটি ওই গ্রামের আরব আলীর মসজিদ হতে এছেরউদ্দীন গাজীর মসজিদ পর্যন্ত চার-পাঁচটি বড় পুকুরের পার্শ্ব দিয়ে চলে গেছে। এ রাস্তা দিয়ে ভেটখালী বাজার, যাদবপুর বাজার, ফরেস্ট অফিস, বিজিবি ক্যাম্প, নদী পাড়, ইউনিয়ন পরিষদ, স্কুল -কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা, হাসপাতাল।
স্থানীয় সহ প্রায় ৮ টি গ্রামের মানুষ নিয়মিত চলাচল করে। এলাকার কৃষকগণ তাদের উৎপাদিত ফসল এ পথ দিয়ে এলাকার বৃহৎ হাট ভেটখালী বাজারে নিয়ে গিয়ে কেনা-বেচা করে। এ ছাড়া এলাকার শত শত শিক্ষার্থী এ সড়ক দিকে কৈখালী মাদ্রাসা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজে আসা যাওয়া করে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের পশ্চিম কৈখালী ও পূর্ব কৈখালী গ্রামের ৪-৫টি পুকুর রাস্তাটিকে গ্রাস করছে। রাস্তাটি প্রায় ১০ ফুট চওড়া ছিল যাহা এখন অনেক জায়গায় ৫-৬ ফুট পুকুরে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। পুকুরের রাস্তার অংশে গাইড ওয়াল নির্মাণ না করায় এবং বিগত দিনে কোনোরকম সংস্কার না হওয়ায় দিন দিন সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। মূলত রাস্তাটি টার্নিং পয়েন্টে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দিনের থেকে রাতে চলাচলে অনেকের সুযোগ সুবিধার জন্য গাড়ী নিয়ে চলা যায় না, বিভিন্ন অসুবিধা নিয়ে বাড়িতে ফিরতে হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। পূর্ব কৈখালী গ্রামের আল-আমীন বলেন, স্কুল কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা ও ভেটখালী বাজারসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি পুকুরে মিশে যেতে বসেছে। রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেলে এলাকাবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে।
তাছাড়া এই রাস্তা দিয়ে গত সোমবার সকালে মোটরভ্যান করে আত্নীয়ের বাড়িতে যাওয়ার পথে এখানে মোটরভ্যান উল্টে কয়েকজন আহত হয়েছে। তারমধ্যে একজন বৃদ্ধা গুরুতর আহত হয়েছে। পশ্চিম কৈখালী গ্রামের কৃষক জামাল গাজী বলেন, আমাদের উৎপাদিত ফসল নিয়ে হাটে যাওয়ার একমাত্র মাটির কাঁচা রাস্তা এটি। এই পুকুরের স্থানে দুইপাশে গাইড ওয়াল নেই কোনো রকম সরকারি বরাদ্দের সংস্কার কাজ ও না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে যেকোনো সময়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মল্লিক আমিনুর রহমান বলেন, রাস্তা সংস্কার ও পুকুরের বাকি অংশে গাইড ওয়াল নির্মাণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছে। আশা করছি রাস্তাটি সচল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সফল দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম বলেন, যাদের পুকুরের কারণে রাস্তাটি ভেঙে যাচ্ছে তাদেরই নিজ দায়িত্বে পুকুরের পাড় বেঁধে নিতে হবে এবং পাশাপাশি সরকারি বরাদ্দ পাওয়া মাত্র কাজ করবো ইনশাআল্লাহ। উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।