খোঁজ পাওয়ার পর রাতেই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের স্কুলহাট এলাকায় ছুটে যান ইউএনও। শীতার্ত ওই যুবককে শীতবস্ত্র ও খাবার পৌঁছে দিয়ে আসেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে এমন দুটো ছবি ইউএনওর অফিশিয়াল ফেসবুকে পোস্ট করার পর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ডিসি ও বালিয়াডাঙ্গীর ইউএনও।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও যোবায়ের হোসেন বলেন, ‘ডিসি স্যার ইনবক্সে ছবিটা দিয়ে খোঁজ নেওয়ার কথা বললে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারীর মাধ্যমে খুঁজে বের করি। এবং রাতেই স্কুলহাটের পাশে একটি ঝুঁপড়িতে তাকে পাই। যুবককে শীতবস্ত্র ও খাবার প্রদান করা হয়েছে।’

ইউএনও আরও বলেন, ‘শীতার্ত ওই যুবকের নাম আবু। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ও কথা বলতে পারেন না। 

১০ বছরের বেশি সময় স্থানীয় দর্জি আনসারুলের কাছে থাকেন সে । দর্জি তাঁর দেখভাল করেন। তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি। ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে দর্জি আনসারুলকে আর্থিক সহায়তা করা হবে।’

দর্জি আনসারুল ইসলাম জানান, ‘মানসিক ভারসাম্যহীন আবু'র খাওয়া-দাওয়াসহ যাবতীয় দেখাশোনা আমি করি। তবে এমন ছবি কে তুলে ফেসবুকে দিয়েছে আমার জানা নেই। ইউএনও স্যার এসেছিলেন। সহযোগিতা করার কথা বলেছেন।’ ইউএনওর এমন উদ্যোগে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আনসারুল।

">

ফেসবুকে দেখে শীতবস্ত্র ও খাবার নিয়ে রাতেই ছুটে গেলেন ইউএনও !

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

৩১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৩ years আগে

ফেসবুকে দেখে শীতবস্ত্র ও খাবার নিয়ে রাতেই ছুটে গেলেন ইউএনও !

বাঁশের চাটাইয়ের একটি ঘরে কাঠের একটি খাটে নেই কোনো বিছানা।

সেই বিছানায় শীতার্ত এক যুবক শীতবস্ত্রহীন ও খাবারের অভাবে কংকালসার অবস্হায় বসে থাকা একটি ছবি ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) যোবায়ের হোসেনকে খোঁজ নিতে নির্দেশ দেন।

খোঁজ পাওয়ার পর রাতেই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের স্কুলহাট এলাকায় ছুটে যান ইউএনও। শীতার্ত ওই যুবককে শীতবস্ত্র ও খাবার পৌঁছে দিয়ে আসেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে এমন দুটো ছবি ইউএনওর অফিশিয়াল ফেসবুকে পোস্ট করার পর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ডিসি ও বালিয়াডাঙ্গীর ইউএনও।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও যোবায়ের হোসেন বলেন, ‘ডিসি স্যার ইনবক্সে ছবিটা দিয়ে খোঁজ নেওয়ার কথা বললে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারীর মাধ্যমে খুঁজে বের করি। এবং রাতেই স্কুলহাটের পাশে একটি ঝুঁপড়িতে তাকে পাই। যুবককে শীতবস্ত্র ও খাবার প্রদান করা হয়েছে।’

ইউএনও আরও বলেন, ‘শীতার্ত ওই যুবকের নাম আবু। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ও কথা বলতে পারেন না।

১০ বছরের বেশি সময় স্থানীয় দর্জি আনসারুলের কাছে থাকেন সে । দর্জি তাঁর দেখভাল করেন। তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি। ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে দর্জি আনসারুলকে আর্থিক সহায়তা করা হবে।’

দর্জি আনসারুল ইসলাম জানান, ‘মানসিক ভারসাম্যহীন আবু'র খাওয়া-দাওয়াসহ যাবতীয় দেখাশোনা আমি করি। তবে এমন ছবি কে তুলে ফেসবুকে দিয়েছে আমার জানা নেই। ইউএনও স্যার এসেছিলেন। সহযোগিতা করার কথা বলেছেন।’ ইউএনওর এমন উদ্যোগে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আনসারুল।

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news