বরগুনা সদর উপজেলার পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডের গাজী কালুর দরবারের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম (৪২) এবং ছেলে মোঃ আরিফকে মিতু নামের (১৩) মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক করেছে বরগুনা থানা পুলিশ। 

বরগুনা সদর পৌর শহরের পশ্চিম বরগুনা সোনিয়া সিনেমা হলের সামনে থেকে নুরুল ইসলাম এবং তার ছেলে আরিফ (২২) বরগুনা থানা পুলিশ আটক করেছে। নুরুল ইসলামের নিজ বাসার পাশেই ভাড়া বাসায় (বাদল খান) থাকা রাহিমা ওরফে রাহু(৪৫) বরগুনা সদর মাছ বাজারের সামনে শাক সবজি বিক্রেতার একমাত্র মেয়ে মিতু কে নুরুল ইসলাম এবং তার ছেলে আরিফ বিগত কয়েক মাস যাবত লাগাতার ধর্ষণ করে আসছিল। 

বাবা নুরুল ইসলাম কর্তৃক মিতু প্রায়ই ধর্ষণের শিকার হত এই দৃশ্য ছেলে আরিফ দেখে ফেলায় মিতুকে বলে, তুমি যে কাজ করেছো তা আমি দেখেছি তাই আমাকেও দিতে হবে। এতে মিতু বাধ্য হয়। দীর্ঘ মাস যাবত থেকেই বাবা নুরুল ইসলাম এবং ছেলে আরিফ মিতু কে ধর্ষণ করে আসছিল। গতকাল ০২.০১.২০২২ ইং তারিখ মিতু তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে তার বান্ধবীদের সাথে বাবা এবং ছেলের ধর্ষণের ঘটনা বলতে থাকেন। পাশেই এক মহিলা ঘটনা শুনতে পেরে মিতুর খালা পপি (৩২) কে জানালে পপি তার বোন রহিমা ওরফে রাহীকে জানায়। বর্তমানে মিতু পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

বিষয়টি জানাজানি হলে বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। বরগুনা সদর থানা পুলিশের একটি টিম অফিসার ইনচার্জ কেএম তারিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে রাত ১০:০০টা নুরুল ইসলাম এবং তার ছেলে আরিফকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। 

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আজিম মোল্লা বলেন, নুর ইসলাম খারাপ প্রকৃতির লোক। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগেও যৌন হয়রানির মামলা হয়েছিল। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ায় তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

অত্র এলাকার লাকি (২৪) বলেন, এরকম অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা উচিত। মোঃ মনিরুজ্জামান জানান নুরুল ইসলাম এর আগেও একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল। তার স্ত্রী নাজনীন (৩৫) এর মাধ্যমে বাসায় বসে গর্ভপাত করা হয়েছিল। এই নুরুল ইসলাম একজন খারাপ ধরনের মানুষ। সরকারি লেট্রিন সব সময় তালা দিয়ে রাখে অন্যদের ব্যবহার করতে দেয় না। সরকারি টিউবলের পানি আনতে গেলে সেখান থেকেও টাকা নেয়। তার অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। এধরনের কাজের সাথে তার সম্পৃক্ততা অনেক আগ থেকেই, আমরা এর বিচার চাই।

বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের কাছে মামলা আকারে এসেছে বিষয়টিকে অত্যন্ত আলোচিত হাওয়ায় গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।

">

বরগুনায় বাবা ও ছেলের ধর্ষনে ১৩ বছরের শিশু অন্তঃসত্ত্বা

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

৩ জানুয়ারী, ২০২২, ৩ years আগে

বরগুনায় বাবা ও ছেলের ধর্ষনে ১৩ বছরের শিশু অন্তঃসত্ত্বা

বরগুনা সদর উপজেলার পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডের গাজী কালুর দরবারের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম (৪২) এবং ছেলে মোঃ আরিফকে মিতু নামের (১৩) মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক করেছে বরগুনা থানা পুলিশ।

বরগুনা সদর পৌর শহরের পশ্চিম বরগুনা সোনিয়া সিনেমা হলের সামনে থেকে নুরুল ইসলাম এবং তার ছেলে আরিফ (২২) বরগুনা থানা পুলিশ আটক করেছে। নুরুল ইসলামের নিজ বাসার পাশেই ভাড়া বাসায় (বাদল খান) থাকা রাহিমা ওরফে রাহু(৪৫) বরগুনা সদর মাছ বাজারের সামনে শাক সবজি বিক্রেতার একমাত্র মেয়ে মিতু কে নুরুল ইসলাম এবং তার ছেলে আরিফ বিগত কয়েক মাস যাবত লাগাতার ধর্ষণ করে আসছিল।

বাবা নুরুল ইসলাম কর্তৃক মিতু প্রায়ই ধর্ষণের শিকার হত এই দৃশ্য ছেলে আরিফ দেখে ফেলায় মিতুকে বলে, তুমি যে কাজ করেছো তা আমি দেখেছি তাই আমাকেও দিতে হবে। এতে মিতু বাধ্য হয়। দীর্ঘ মাস যাবত থেকেই বাবা নুরুল ইসলাম এবং ছেলে আরিফ মিতু কে ধর্ষণ করে আসছিল। গতকাল ০২.০১.২০২২ ইং তারিখ মিতু তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে তার বান্ধবীদের সাথে বাবা এবং ছেলের ধর্ষণের ঘটনা বলতে থাকেন। পাশেই এক মহিলা ঘটনা শুনতে পেরে মিতুর খালা পপি (৩২) কে জানালে পপি তার বোন রহিমা ওরফে রাহীকে জানায়। বর্তমানে মিতু পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

বিষয়টি জানাজানি হলে বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। বরগুনা সদর থানা পুলিশের একটি টিম অফিসার ইনচার্জ কেএম তারিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে রাত ১০:০০টা নুরুল ইসলাম এবং তার ছেলে আরিফকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আজিম মোল্লা বলেন, নুর ইসলাম খারাপ প্রকৃতির লোক। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগেও যৌন হয়রানির মামলা হয়েছিল। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ায় তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

অত্র এলাকার লাকি (২৪) বলেন, এরকম অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা উচিত। মোঃ মনিরুজ্জামান জানান নুরুল ইসলাম এর আগেও একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল। তার স্ত্রী নাজনীন (৩৫) এর মাধ্যমে বাসায় বসে গর্ভপাত করা হয়েছিল। এই নুরুল ইসলাম একজন খারাপ ধরনের মানুষ। সরকারি লেট্রিন সব সময় তালা দিয়ে রাখে অন্যদের ব্যবহার করতে দেয় না। সরকারি টিউবলের পানি আনতে গেলে সেখান থেকেও টাকা নেয়। তার অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। এধরনের কাজের সাথে তার সম্পৃক্ততা অনেক আগ থেকেই, আমরা এর বিচার চাই।

বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের কাছে মামলা আকারে এসেছে বিষয়টিকে অত্যন্ত আলোচিত হাওয়ায় গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news