পশ্চিমাঞ্চলের ২৬ টি রেলস্টেশনকে 'মডেল' হিসেবে তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেগুলো আধুনিকায়ন করা হবে। সেই তালিকায় রয়েছে দিনাজপুরের বিরামপুর রেলস্টেশন। উদ্যোগ বাস্তবায়ন এ বদলে যাবে বিরামপুর স্টেশন।
এতে এলাকার যাতায়াত, কৃষি, শিক্ষা, ব্যবসা- বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে। যাত্রী মাসুম বলেন, এ অঞ্চলের বাণিজ্যিক শহর বিরামপুর। আধুনিকায়ন ও মডেল প্রকল্পের আওতায় এটি জায়গা করে নিয়েছে। তা দিনের আলো দেখতে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় পাল্টে যাবে।
বিরামপুর রেলস্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, এখান থেকে আপ ও ডাউন রুটে সাতটি করে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এ ছাড়া বেসরকারি খাতে আপ ও ডাউনে মোটচারটি মেইল ট্রেন চলাচল করে। এখান থেকে রেলের মাসিক আয় হয় প্রায় ৩২ থেকে ৩৫ লাখ টাকা।
মিজানুর রহমান বলেন, বিরামপুর রেলস্টেশন দিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ট্রেন চলে। যাতে যাত্রীর চাহিদার তুলনায় আসন সংখ্যা সীমিত। এখানে কোনো কোনো ট্রেনের প্রথম শ্রেণির আসন বরাদ্দ নেই। শুধু নীলসারগ এক্সপ্রেসে এসি আসন বরাদ্দ রয়েছে।
তবে ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ট্রেনে তা নেই। তাই এর আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ বলেন, বিরামপুর রেলস্টেশন ঢেলে সাজানো হবে। যাত্রী যাওয়া - আসার জন্য ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ হবে।
নারী ও পুরুষের আলাদা শৌচাগার থাকবে। যাত্রীদের বসার জন্য সুন্দর শেড থাকবে। থাকবে বঙ্গবন্ধু ও ফুড কর্নার। এক কথায় উন্নত যাত্রী সেবা নিশ্চিত করা হবে। দুর্ঘটনা, ছিনতাই, চুরি, তৃতীয় লিঙ্গের উপদ্রব, অজ্ঞাত পার্টির খপ্পর থেকে রেল যাত্রীদের রক্ষায় স্টেশনে একটি জি আরপি ফাঁড়ি স্থাপনের দাবি জানান এলাকাবাসী।
পত্রিকাএকাত্তর /রায়হানকবির
আরও পড়ুন
