শিশু রুমির বাঁচার আকুতি

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

৩০ জানুয়ারী, ২০২২, ৩ years আগে

শিশু রুমির বাঁচার আকুতি

মেধাবী শিক্ষার্থী রুমি। বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রাজার হাট উপজেলার চাকিরপাশা ইউনিয়নের ব্যাপারী পাড়া গ্রামে। রুমি ওই গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী, বাবা ভ্যানচালক সফিকুল ইসলাম। মা পারুল মানসিক ভারসাম্যহীন।

বাবা ছাড়া রুমিকে দেখার মতো আর কেউ নেই। দুই বছর ধরে ভ্যান চালিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসা করে নিঃস্ব হলেও সুস্থ করতে পারেননি। সংসারের বেহাল দশা থাকার পরও অদম্য ইচ্ছা আর দৃঢ় মনোবল রেখে মেয়ে রুমির লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন সফিকুল ইসলাম। জীবনে অনেক বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখেন রুমি। সেই আশায় বুকবেঁধে পথচলা মেয়ে রুমির জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার।

গত বছর হঠাৎ করে রুমির হাত-পা-চোখ ফুলে যায়। গ্রামে চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ না হলে চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নেয়। সেখানকার চিকিৎসক রংপুরে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন। অভাবের সংসারে মেয়ের চিকিৎসা করাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তার বাবা। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানায় রুমির একটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। আশাহত হয়ে মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) মেয়েকে চিকিৎসকের নিকট যাওয়ার তারিখ থাকলেও টাকার অভাবে রংপুর যেতে পারছেন না ভ্যানচালক সফিকুল। সকালে খেয়ে না খেয়ে মেয়ের চিকিৎসার টাকার সন্ধানে কাজে বেরিয়েছেন।

বাঁচার আকুতি জানিয়ে ছোট্ট রুমি বলে, ‘আমি ছোট মানুষ। কী পাপ করলাম যে আল্লাহ আমাকে এমন অসুখ দিলো। আমি বাঁচতে চাই। আমাকে বাঁচান।’

রুমির চাচা আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমার ভাই নিতান্ত গরিব মানুষ। ভ্যান চালিয়ে তার সংসার চলে। আমার ভাবী মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে আছে। ভাতিজি রুমির কিডনির সমস্যা। চিকিৎসার জন্য জমিজমা বিক্রি করে নিঃস্ব হয়েছেন। শুধু ভিটেমাটি ছাড়া কিছুই নেই তার। আজকে রংপুরে ডাক্তার দেখার তারিখ ছিল। টাকার জন্য ভাই সকালে ভ্যান নিয়ে বেরিয়েছেন। এখনও আসেননি। কেউ যদি সাহায্য করত তাহলে ভাতিজি রুমির খুবই উপকার হতো।

রুমির বাবা সকল হৃদয়বান ও বিত্তবান মানুষদের তার মেয়ের চিকিৎসা সহযোগিতায় এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।

বিকাশ-01705830118 রুমির বাবা (শফিকুল)

পত্রিকা একাত্তর/ আইনুল ইসলাম

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news