চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন শেরশাহ বাংলা বাজারে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে নূর হোসেন গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে।
বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন শেরশাহ বাংলাবাজারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চাঁদা দিয়ে দোকানদারি করছেন প্রতিনিয়ত। বাংলাবাজারে প্রায় ৩০০ টির মত দোকান রয়েছে। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত দোকানদারি করেন বাজারের দোকানদাররা। হাজার হাজার পথচারীদের পথ অবরুদ্ধ করে বাজার পরিচালনা করছেন নূর হোসেন গ্যাং। জানা যায়, বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে প্রায় ১৫ হাজার টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করে প্রতিদিন নূর হোসেন ও তার গ্যাং।
নূর হোসেন গ্যাংকে চাঁদা আদায়ে প্রতিনিয়ত সার্বিক সহযোগিতা করা যাচ্ছেন বহু মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী জসীম উদ্দীন হাওলাদার প্রকাশ পানি জসিম। বাজার ঝাড়ু দেওয়ার নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতি দোকান থেকে চাঁদা তোলেন পুলিশের বউ খ্যাত প্রকাশ চাঁদাবাজ জান্নাত বেগম, দোকান গুলো থেকে তুলেন প্রায় নয় হাজার টাকা। যেখানে দেশের বিদ্যুৎ সংকট ঠিক সেই মুহূর্তে প্রতিটি দোকানে পাঁচ থেকে সাতটির বেশি অধিক পাওয়ার সম্পন্ন বৈদ্যুতিক লাইট ব্যবহার করে যাচ্ছেন প্রতিটি দোকানদার।
আর এ সকল দোকান থেকে বিদ্যুৎ চার্জ বাবদ প্রতিটি লাইট থেকে ২০ টাকা করে চাঁদা তুলেন আওয়ামীলীগ নেতা শফীর কেয়ার টেকার অপু।মোট অত্র দোকানে বৈদ্যুতিক লাইট আছে প্রায় ৫ হাজার লাইট যা প্রতিটি লাইট থেকে ২০ টাকা করে উত্তোলন করা হয়। তাহলে মোট টাকা উত্তোলন হচ্ছে এক লক্ষ টাকা, এসব টাকা যায় সরকার দলীয় কথিত নেতা এবং বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িতদের পকেটে। দোকানদারদের কষ্টে অর্জিত টাকার চাঁদা যে সকল চাঁদাবাজদের পকেটে যায় তাদের মধ্যে অন্যতম হলো কিশোর গাং লিডার মোস্তফা কামাল পাশা প্রকাশ কামাল পাশা, একাধিক মামলার আসামি নূর হোসেন, বহু মামলার আবু তাহের, জাবেদ, সোর্স সাগর, আলামিন ফকির সহ নূর হোসেনের নিয়ন্ত্রণে চাঁদার টাকা আরো অনেকের পকেটে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন দোকানদার বলেন, আমরা দোকানদারি করে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে অনেক কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। তারা আরও বলেন চাঁদাবাজ নুর হোসেনকে ম্যানেজ না করলে বাংলা বাজারে দোকানদারি করা যাবে না। এমনকি বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় থাকতে পারবে না এরকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন নূর হোসেন।প্রতিদিন দোকানের চাঁদা না দিলে দোকান বন্ধ করে দেয়ার হুমকি প্রদান করেন নূর হোসেন গ্যাং। তাদের ভয়ে কাঁচা বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিনিয়ত আতঙ্ক বিরাজ করে।
বিশ্বস্ত সূত্রে আরো জানা যায়, শেরশাহ মেইন রোড অর্থাৎ রাস্তার পূর্বপাশে বাদাম গাছ তলায় ফুটপাতে জায়গা দখল করে চায়ের দোকান বসিয়ে দিবে বলে মান্নান নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন২০০০০(বিশহাজার) টাকা নূর হোসেন, প্রকাশ হকার নূর হোসেন। শেরশাহ বি এস আর এম গেইট সংলগ্ন নূর হোসেনের কথিত শালী পরিচয়ে চায়ের দোকান করছেন সুমি এবং তার স্বামী হারুন ।
তারা প্রতিদিন নূর হোসেনকে দিচ্ছে ১০০ টাকা করে মাসে ৩০০০ টাকা। গুলশান আবাসিকের মুখে বাংলাবাজারে চটপটির দোকানদার জাহাঙ্গীর নূর হোসেনের কথিত শালা পরিচয়ে দোকান করে যাচ্ছেন দীর্ঘ বহু বছর ধরে। সেই দোকান থেকে নূর হোসেনকে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। টেক্সটাইল মোড়ে রাস্তার পশ্চিমে মেরিন সিটি গেটের উত্তরে নূর হোসেন আরেক শালা পরিচয়ে বাংলাবাজারের চটপটি দোকানদার জাহাঙ্গীরের ভাইয়ের চায়ের দোকান থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০০ টাকা চাঁদা তুলেন নুর হোসেন ।
এরকম আরো অনেক দোকান রয়েছে যাদেরকে বসিয়ে প্রতিদিন নূর হোসেন হাজার হাজার টাকা অর্থাৎ প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা উত্তোলন করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজ নুর হোসেন। চাঁদাবাজ নূর হোসেনের বিষয়ে জানতে চাইলে বায়েজিদ বোস্তামী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফেরদৌস জাহান এই প্রতিবেদককে বলেন, নূর হোসেন নামের কোন লোককে আমি চিনি না। সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
পত্রিকা একাত্তর
আপনার মতামত লিখুন :