দেখতে দেখতে কেটে গেছে তার জীবনের ৩৪টি বছর। ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কখন যে, মরণ অসুখ বাসা বেঁধেছে তার কিডনিতে। যখন জানতে পারলো তখন তার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। চরফ্যাসনের আবু জাহের হুজুর আজ জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। তার দুচোখে মুঠো মুঠো স্বপ্নের বদলে শুধুই মৃত্যুর বিভীষিকা। চোখ বুঝে অবসন্ন শরীর নিয়ে জীবনকে মহাকালের কাছে সোপর্দ করার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন আবু জাহের।
তার মধ্যে এখন বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি। স্বজনদের সামর্থ্য নেই এত অর্থ ব্যয় করে তাকে বাঁচিয়ে রাখা। তারপরও তার পরিবারের চেষ্টার কমতি নেই। আবু জাহেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত নিয়ে যেতে চান স্বজনরা তবে তারা পারছেন না আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে। নিরূপায় হয়ে আবু জাহের হুজুরকে বাঁচাতে সমাজের সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তার মা ছালেহা খাতুন।
আবু জাহের হুজুর চরফ্যাসন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের ওমরাবাজ গ্রামের নূর মোহাম্মদ জমাদারের ছেলে এবং একই গ্রামের আব্দুল মান্নান হাওলাদার জামে মসজিদের ইমাম। আবু জাহের হুজুর ওইগ্রামে তিন সন্তান ও মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রী কে নিয়ে একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন।
আবু জাহের হুজুর মানবকণ্ঠকে বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ মসজিদের ইমামতি করে আসছি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে চরফ্যাসনে একটি প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতালে গেলে বিশেষজ্ঞ ড. নাহিদ হাসান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন- আমার দু’টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।
এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শ্যামলী বঙ্গবন্ধু কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। সেই থেকে ডায়ালাসিস করে বেঁচে আছি। এখন টাকা জোগাড় করতে পারলে ডায়ালাসিস করা হয়। না পারলে আর করা হয় না। দিন দিন আমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন আমার সহায় সম্বল বলে তেমন কিছু নেই। আমি একটি মসজিদে ইমামতি করে মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রী এবং তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। দুই কিডনি নষ্ট হয়ে এখন মৃত্যুশয্যায়। এই মুহূর্তে আমার চিকিৎসা এবং মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রীর চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়।
ঠিক মতো খাবার কিনতে পারি না সেখানে চিকিৎসার টাকা জোগাড় করবো কীভাবে বলে কেঁদে ফেলেন তিনি। ইমাম আবুজাহের ও তার স্ত্রীকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তি ও প্রবাসীদের সাহায্য কামনা করে সকলের দোয়া চেয়েছেন তিনি। মসজিদের ইমাম আবু জাহের, সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : ইমাম আবু জাহের বিকাশ- ০১৭৪৭-৬৯১ ৬৬৫
পত্রিকাএকাত্তর /শামছুদ্দিন খোকন