বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৩ পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আড়ইবেকী নিবাসী বজলু খন্দকারের বখাটে পুত্র ইয়াবা সম্রাট ওরফে ডাকাত আলমগীর ইয়াবা ও গাঁজার ব্যবসায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে।এক সময় এই ইয়াবা ব্যবসায়ী আলমগীর পেশায় ছিলেন ডাকাত।আরে এর জন্য তিনি একাধিক চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই হত্যা ও চাঁদাবাজি মামলায় দীর্ঘদিন জেলহাজতে থাকার পর, জেল থেকে জামিনে বের হয়ে পুলিশের সোর্সের কাজে নিয়োজিত হন। দীর্ঘদিন তিনি সোর্স হিসেবে কাজ করার পর মরণনেশা ইয়াবা ও গাঁজার ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। মাদকের কালোথাবায় এ জনপদের বিস্তৃর্ণ এলাকায় উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকরা নেশা আসক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে নেশা আসক্ত ছেলেদের ভবিষ্যত নিয়ে অভিভাবকরা শংকিত হয়ে পড়েছে। থানা পুলিশের নির্বিকারের সুযোগে এই মাদক বিক্রয়তা আলমগীর তার মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসীর একাধিক অভিযোগ সূত্রে জানা যায় । মাদক বিক্রয়তা আলমগীরের ব্যাপারে তার এলাকার একাধিক ব্যক্তির সাথে গতকাল কথা বলে জানা গেছে,মাদক চোরাচালানী এক সময় ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফ ভিত্তিক কাঠের চালান সরবরাহ করার আড়ালে ওখানকার মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে বিনিময়ে তাদের নিকট থেকে গাঁজা, ইয়াবাসহ মাদকের চালান উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের আড়াইবেকী নামক আস্তানায় নিয়ে আসা হয়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই এখান থেকে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের দীর্ঘ ৫বছর ধরে পাইকারদের এবং খুচরা বিক্রেতার কাছে ইয়াবা ও গাঁজা সরবরাহ করে আসছে। ।দরিদ্র ও অভাব অনটনের অজুহাতে মাদক বিক্রয়তা আলমগীর ্আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে এ অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। অথচ গত ৫ বছরে মাদক বিক্রয়তা আলমগীর লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বনে গেছে। শুধু তাই নয়, উপজেলা ব্যাপী রয়েছে শক্তিশালী একটি মাদক সিন্ডিকেট। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে মাদক বিক্রয়তা আলমগীর শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে বিভিন্ন গোপন স্থানে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে অথবা ওপেন-সিক্রেট গাঁজা-ইয়বা বেঁচা বিক্রির লেনদেন চালিয়ে যাচ্ছে বলে তার বিশ্বস্থ একটি সূত্রে জানা গেছে। মাদক এই বিক্রয়তা ভয়ে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, মোবাইল নেটওয়ারের মাধ্যমে মাদক বিক্রয়তা তার সহযোগী প্রতিনিয়ত প্রকাশ্য দিবালোকে উপজেলার বিভিন্নস্থানে গাঁজা-ইয়াবা বিক্রির লেনদেন করে থাকে এবং তিনিও একজন পেশাদার মাদকসেবী।এছাড়াও বর্তমানে মাদক সম্রাটের আস্তানায় মাদক মজুদ না করে পার্শ্ববর্তী তার অপরাপর আত্মীয় স্বজন ও ভাইদের বসত ঘরে বিশাল আকারের একটি বড় মজুদ করারও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ প্রশাসন কিংবা গোয়েন্দা সংস্থা যদি মাদক মাদক এই বিক্রয়তা উপর তীক্ষ নজরধারী সহ তার মাদকের আস্তানায় অনুসন্ধান বা অভিযান চালালে বিপুল পরিমাণ গাঁজা-ইয়বা উদ্ধার ও তার ব্যাপারে চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন হতে পারে বলে গোপন সূত্রে জানা যায় । এছাড়া সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মাদক বিক্রয়তা আলমগীর মাদক ব্যবসার চাঞ্চল্যকর অজানা রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার ১৩ পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আড়ইবেকী দীর্ঘদিন ধরে মাদকসম্রাট আলমগীর মাদক ব্যবসা করে আসলেও পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় দিন দিন ব্যবসার পরিধি বিস্তৃতি লাভ করছে। এলাকার তরুণ, যুব ও আগামী প্রজন্মের শিশুদের মাদকমুক্ত পরিবেশে গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই এই মাদক বিক্রয়তাকে আইনের জালে আটকাতে হবে। অন্যথায় পুরো উপজেলায় মাদকের সয়লাব হয়ে উঠবে এতে কোন সন্দেহনেই।যা এখানকার অভিভাবক ও এলাকাবাসীকে ভাবিয়ে তুলছে। এই বিক্রয়তাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সর্বস্তরের সচেতন এলাকাবাসী ।এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন মিলনের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান-সারাদেশে মাদক বিরোধী অভিযানের মত আমাদের বাকেরগঞ্জেও শুদ্ধ অভিযান চলছে এবং আমরা এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স তবে মাদককে নির্মূলের ধ্বংস করতে হলে সেক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
বাকেরগঞ্জে ইয়াবা সম্রাট ডাকাত আলমগীর রয়েছে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।।
৪ মার্চ, ২০২২, ৩ years আগে

